ঢাকা: বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বাংলাদেশের ‘গ্যাবা’ স্বপ্ন। ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (গ্যাবা)শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না খেলেই এক পয়েন্ট পাওয়া স্বস্তিদায়ক হলেও আফসোসও কিন্তু কম হয়নি বাংলাদেশের।
২০০৩ ও ২০০৮ সালে দু’বার অস্ট্রেলিয়া সফর করেছিল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত মাঠগুলোতে খেলতে পারেনি টাইগাররা। আইসিসির এফটিপি চক্রে কবে যে আবার ক্যাঙ্গারুদের দেশ সফরে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে, তাও অজানা। তাইতো দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মাঠে নামতে না পেরে দিনভর ছটফট করেছেন। হয়তো গ্যবায় আর নামাই হবে না মাশরাফিসহ আরো কয়েকজনের। তাই আফসোসটা স্বাভাবিকই।
গ্যাবার আফসোস মিটতে পারে এমসিজি দিয়ে। এই মাঠের ঐতিহাসিক গুরুত্বও কম নয়।
গ্যাবার পর এবার বাংলাদেশ দলের ভেন্যু মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড এমসিজি)। আগামিকাল বৃহস্পতিবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এমসিজিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
গ্যাবায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাক লাগানো পারফরম্যান্স করার যে স্বপ্ন এঁকেছিল বাংলাদেশ দল সেটা পূরণ হতে পারে এমসিজিতে। লঙ্কা বধ করতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার স্বপ্নে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশ।
২৯ মার্চের বিশ্বকাপ ফাইনাল এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৯২ বিশ্বকাপের পাকিস্তান-ইংল্যান্ড জমজমাট ফাইনালও গড়িয়েছিল এখানে।
১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে শুরু এমসিজি’র। ক্রিকেট ইতিহাসের সেটিই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ১৯৭১ সালে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় এ স্টেডিয়ামের।
এ মাঠের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৩৪৪ রান। ২০০৫ সালে এশিয়া একাদশের বিপক্ষে এ রান করেছিল বিশ্ব একাদশ। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর মার্ক ওয়াহর। ২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৭৩ রান করেছিলেন ওয়াহ।
বোলিংয়ে এক ম্যাচে সবোচ্চ উইকেট শিকারি ভারতের অজিত আগারকার। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন আগারকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘন্টা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫