ঢাকা: দলীয় ২০০ রানে স্কটল্যান্ড তাদের সপ্তম উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। লংকানদের জিততে হলে আর মাত্র তিনটি উইকেট তুলে নিতে হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪১ ওভার শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান।
এর আগে ৩৬৪ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে স্কটল্যান্ড। স্কটিশদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধনের দায়িত্ব নিয়ে ক্রিজে আসেন কাইল কোয়েটজার এবং ম্যাকলউড। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই লাসিথ মালিঙ্গা নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে কোয়েতজারকে শুন্য হাতেই ফিরিয়ে দেন।
দলীয় ৪৪ রানে দিলশানের বলে এলবিডব্লু হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ম্যাট মাচান (১৯)। এর আগে নুয়ান কুলাসেকারার বলে কালাম ম্যাকলউড (১১) আউট হলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্কটিশরা।
দলীয় ৪৪ রানে তৃতীয় উইকেটের পতনের পর প্রেস্টন মমসেন ও ফ্রেডলি কোলম্যান দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন। এ দু’জন মিলে ১১৮ রানের জুটি গড়েন। ইনিংসের ৩২তম ওভারের শেষ বলে আউট হন স্কটিশ দলপতি প্রেস্টন মমসেন। পেরেরার বলে থিরিমান্নের তালুবন্দি হওয়ার আগে মমসেন খেলেন ৬০ রানের একটি ইনিংস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৭৫ বলে তার সাজানো ইনিংসে ছিল ৭টি চারের মার।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৬০ রানে স্কটিশ দলপতি মমসেন ফিরে গেলে ব্যাটিং ক্রিজের দায়িত্ব নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক পার করা ফ্রেডি কোলম্যান। তবে, ৭০ রান করে আউট হন তিনি। কুলাসেকারার বলে পেরেরার হাতে ধরা পড়ার আগে কোলম্যান ৭৪ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৭০ রান করেন।
এর আগে শ্রীলংকার ওপেনার তিলেকারত্নে দিলশান আর ক্রিকেট বিশ্বের বিস্ময় কুমার সাঙ্গাকারার ব্যাটে ভর করে লংকানরা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৩৬৩ রান সংগ্রহ করে। এটি স্কটিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে যেকোনো দলের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।
এ ম্যাচে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম শতক তুলে নেন লংকান ওপেনার দিলশান। ৯৭ বল খেলে তিনি তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান। তবে, ইনিংসের ৩৫তম ওভারে ১০৪ রান করে আউট হন দিলশান। ডেভির বলে ম্যাকলউডের তালুবন্দি হয়ে আউট হওয়ার আগে দিলশান ৯৯ বলে ১০টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান।
টানা চার ম্যাচে শতক পূর্ণ করা বিরল ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে দিলশান এ ম্যাচে ২৮.৫ ওভার থেকে ১৯৫ রানের জুটি গড়েন।
স্কটিশ বোলারদের উপর দিয়ে ঝড় তুলে ৯৫ বলে ১২৪ রান করে আউট হন কুমার সাঙ্গাকারা। ডেভির বলে উইকেটের পিছনে ধরা পড়ার আগে সাঙ্গাকারা ১৩টি চারের পাশাপাশি ৪টি ছক্কা হাঁকান। এর আগে ৮৬ বলে সাঙ্গা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৫তম শতক পূর্ণ করেন।
দলীয় ২১৬ রানে সেঞ্চুরিয়ান দিলশান ফিরে যাওয়ার পর আরেক সেঞ্চুরিয়ান ও চলতি আসরে টানা চারটি শতক হাঁকানো কুমার সাঙ্গাকারা বিদায় নেওয়ার আগে বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টানা চার ম্যাচে শতক হাঁকানোর বিশ্বরেকর্ড গড়েন।
টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে ব্যাটিং ক্রিজে এসে মাত্র ১৩ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ২৪ রান করে বিদায় নেন কুশল পেরেরা। আর চলতি বিশ্বকাপের আসরে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতক হাঁকান লংকান দলপতি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। তিনি ২১ বলে ৫১ রান করে বাউন্ডারি সীমানায় ধরা পড়েন।
তবে, আউট হওয়ার আগে ম্যাথুজ একটি চারের পাশাপাশি ছয়টি ছক্কা হাঁকান। আর শেষ ১৮ বলে ২৭ রানের জুটি গড়েন অপরাজিত থাকা দুসমান্থা চামিরা এবং নুয়ান কুলাসেকারা।
স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন জস ডেভি। চলতি বিশ্বকাপের আসরে ৫ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ১৪টি উইকেটও এ স্কটিশ বোলারের দখলে। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন ইভান্স ও বেরিংটন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ১১ মার্চ ২০১৫
** লড়াই করে ফিরলেন কোলম্যান
** কোলম্যান, মমসেনের অর্ধশতকে লড়ছে স্কটিশরা
** স্কটিশদের সামলে উঠার চেষ্টা
** তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে স্কটল্যান্ড
** স্কটিশদের দুই উইকেটের পতন
** ব্যাটিংয়ে নেমেই উইকেট খোয়ালো স্কটিশরা
** স্কটিশদের ৩৬৪ রানের টার্গেট দিল লংকানরা
** লংকানদের নবম উইকেটের পতন
** বড় সংগ্রহের দিকে লংকানরা
** দুই সেঞ্চুরিয়ানের বিদায়
** সাঙ্গাকারা, দিলশানের আবারো শতক
** দিলশানের পর সাঙ্গাকারার অর্ধশতক
** দিলশানের অর্ধশতকে এগুচ্ছে লংকানরা
** পাওয়ার প্লে’তে লংকানদের ৪৬/১
** লংকানদের প্রথম উইকেটের পতন
** ব্যাটিংয়ে নেমেছেন লংকান ওপেনাররা
** টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে লংকানরা


 
                                            .jpg) 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    .jpg) 
                                     
                                     
                                     
                                     
                 
                 
                 
                .jpg) 
                .jpg) 
                 
                 
                 
                