আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) বরিশাল বিভাগের হয়ে খেলার কথা ছিল জাতীয় দলের সাবেক স্পিনার সোহাগ গাজীর। এমনকি বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা তাকে অধিনায়ক করার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে সুপারিশও করেছিল।
বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ গাজী ফিটনেস টেস্টে অকৃতকার্য হওয়ায় তাকে জাতীয় লিগে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি, চলতি বিপিএল নিয়ে গঠিত ফিক্সিং তদন্ত কমিটি তাকে 'রেড জোন'-এ রাখায় তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আপত্তি উঠেছে।
বোর্ডের এক কর্মকর্তা আরও জানান, সাম্প্রতিক এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে গাজীর বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের পারফরম্যান্সও আশানুরূপ ছিল না, যা তার বাদ পড়ার পেছনে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে নির্বাচক প্যানেল কিংবা বরিশালের প্রধান কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল কেউই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে, জাতীয় লিগের দল থেকে বাদ পড়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সোহাগ গাজী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, 'জাতীয় লিগের দলে না রাখায় আমি বিস্মিত। লিপু ভাইকে (বিসিবির কর্মকর্তা) জিজ্ঞেস করেছিলাম, কারণ কী? একবার বলেন ফিটনেস, আবার বলেন বিপিএল ইস্যু। অথচ আমার মতো অভিযুক্ত অনেকেই খেলছে। কিছু প্রমাণ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত কতটা ন্যায্য, বুঝতে পারছি না। '
জানা গেছে, সোহাগ গাজীর ফিটনেস সমস্যা নতুন নয়। ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি কোনোবারই ফিটনেস টেস্টে পাস করতে পারেননি। তার ইয়ো-ইয়ো টেস্টের স্কোর বরাবরই ১৫ থেকে ১৬.৬ এর মধ্যে থাকছে, যা বিসিবির নির্ধারিত ন্যূনতম মানের চেয়ে কম। এবারও তিনি ১৬০০ মিটার দৌড় শেষ করতে সাত মিনিটের বেশি সময় নেওয়ায় তার নামে অকৃতকার্য রিপোর্ট জমা পড়েছে।
এফবি/এমএইচএম