ঢাকা: ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের জন্য গত ১৭ মে প্রাথমিক দল (২৩ সদস্যের) ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রাথমিক স্কোয়াড থেকে মূল স্কোয়াডে কারা জায়গা পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
ভারত সিরিজে শেষ পর্যন্ত কারা ঠাঁই পাবেন বাংলাদেশ দলে তা জানা যাবে ২ জুনের পর। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ‘২ জুনের পর যে কোনো সময় দল ঘোষণা করা হবে। আমরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছি এখন। আপাতত মহিলা টিম নিয়ে কাজ করছি। ’
ভারত সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করার আগে নির্বাচক কমিটিকে কোচিং স্টাফদের সঙ্গেও বসতে হবে। জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা দেশের বাইরে থাকায় সেই আলোচনাও করা যাচ্ছে না। দু’দফায় অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হলেও চার দেয়ালের জিমনেসিয়ামেই কাটছে ক্রিকটারদের সময়। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, স্পিন কোচ রুয়ান কালপাগে, ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসল ও পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক ছুটি শেষে এখনও ঢাকায় পৌঁছান নি। কবে ফিরবেন তারও নির্দিষ্ট কোনো সময় জানা যায়নি। তারা দেশে ফিরলে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং পরীক্ষা হবে ক্রিকেটারদের। আর তাতে সহজ হবে দল নির্বাচনের কাজটাও।
তবে এবার নির্বাচকদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে ইনজুরি সমস্যার দিকে। কারন, মিরপুরে শাহাদাত হোসেন রাজিব মারাত্মক ইনজুরিতে পড়ার বিষয়টিকে আমলে নিতেই হচ্ছে নির্বাচকদের।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই রয়েছেন ইনজুরি সমস্যায়। রুবেল-তামিম-মুশফিকদের ইনজুরি নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট ততটা শঙ্কিত না হলেও শতভাগ ফিট খেলোয়াড় ছাড়া আসন্ন সিরিজে মাঠে নামবে কী না বাংলাদেশ-সেটিই দেখার বিষয়। আর এ জন্যই এবারের দল নিয়ে ভাবনাটাও আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
কারণ ভারত সিরিজের পর তিন ফরম্যাটের পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। ভারত সিরিজে অল্প কিছু চোট সমস্যায় থাকা ক্রিকেটারদের খেলালে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ আসতে আসতে আবার ক্রিকেটারদের ইনজুরিতে পরার শঙ্কা থাকবে।
ফলে, প্রশ্ন উঠেছে বিসিবি পুরো ফিট ক্রিকেটারদেরকেই অগ্রাধিকার দেবে নাকি ইনজুরি ঝুঁকিতে থাকা ক্রিকেটারদের পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে আরেকটু সময় দেবে? ২ জুনের পরই তা জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ২৯ মে ২০১৫
এসকে/এমআর