ঢাকা: ভারতের সবচেয়ে সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে সবশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজ (৩-২) জিতে নেয় ভারত। ইতোমধ্যেই ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য দল গঠনের চিন্তা করছেন।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ বলছে, এখনো ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ভাবছেন না ৩৫ বছর বয়সী ধোনি। এর আগে ২০১৬ সাল শেষে নিজের ফর্ম ও ফিটনেস বিবেচনার ইচ্ছা করেছিলেন। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজ জয়ের প্রভাবে এখনই ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চোখ রাখছেন ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।
সীমিত ওভারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে ২০১৪ সালে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন ধোনি। সতীর্থ অভিজ্ঞ পেসার আশিষ নেহরার পূর্ণ সমর্থনই পাচ্ছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। ধোনির ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে কোনো সংশয়ই দেখছেন না নেহরা।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেহরা বলেন, ‘এখন ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। তখন ধোনির বয়স হবে ৩৮-এর কাছাকাছি। কিন্তু বর্তমান সময়ে বয়স কোনো বিষয় না। পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের দিকে দেখুন। ইউনিস খান (৩৮) ও মিসবাহ উল হক (৪২) এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। ২০১৯ পর্যন্ত যথেষ্ট ফিটই থাকবে ধোনি। ’
‘আমি এর কোনো কারণ দেখি না কেন ধোনির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া উচিৎ। নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ হওয়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নতুনভাবে ফিরে আসতে সে দুই মাসের অধিক সময় বিশ্রাম পাচ্ছে। কিউইদের বিপক্ষে ধোনির যে ফিটনেস ছিল ইংল্যান্ড সিরিজে তা ছাড়িয়ে যাবে। ’-যোগ করেন নেহরা।
ভারতের সাবেক নির্বাচক বিক্রম রাঠোরের বিশ্বাস, পরবর্তী ওয়ানডে ওয়ার্ল্ডকাপে খেলতে পারবেন ধোনি, ‘ধোনি চাইলে সে অবশ্যই খেলতে পারবে। আমি তার ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছি না। আমি আগে যা দেখেছি সে তার চেয়েও বেশি ফিট হতে দৃষ্টি রাখছে। নেহরা যদি ৩৭ বছর বয়সে ফিরতে পারে, ধোনিও পারবে। মনে রাখবেন, বয়স কেবল একটি সংখ্যা। ’
ধোনির পাশে আছেন সাবেক টিম ডিরেক্টর ররি শাস্ত্রী। তার চোখে, যতদিন ক্রিকেটকে উপভোগ করবেন ধোনির খেলে যাওয়া উচিৎ, ‘ধোনি কপিল দেব, সুনীল গাভাস্কার ও শচীন টেন্ডুলকারের মতো গ্রেটদের কাতারে। সে একজন বড় ক্রিকেটার এবং ২০১৯ পর্যন্ত খেলতেই পারে। সে এমন খেলোয়াড় যে ভারতের জন্য কিছু দিতে না পারলে সরে দাঁড়াবে। ধোনি ক্রিকেট খেলেছে তার নিজের শক্তিতে এবং সেটিই অব্যাহত রাখবে। ’
ভারতের সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কিরন মোরের মতে, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিটনেস অনেক বড় বিষয়। ধোনির তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। তার ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। ধোনিকে ভারতের দরকার হবে এবং আমি নিশ্চিত সে এভাবে দূরে সরে যাবে না। ’
আরেকটি কথা যথার্থই বটে, ২০১১ ওয়ার্ল্ডকাপের দুই নায়ক যুবরাজ সিং ও গৌতম গম্ভীর যদি ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখেন তাহলে ধোনি কেন নয়?
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
এমআরএম