ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বয়সভিত্তিক দল নিয়ে মধুর সমস্যায় নির্বাচকরা

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
বয়সভিত্তিক দল নিয়ে মধুর সমস্যায় নির্বাচকরা ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দলে উঠে আসার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম বয়সভিত্তিক ক্রিকেট। এখানে প্রমাণ করেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উঠে এসেছেন বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, কাগিজো রাবাদার মতো তারকা ক্রিকেটাররা।

ঢাকা: জাতীয় দলে উঠে আসার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম বয়সভিত্তিক ক্রিকেট। এখানে প্রমাণ করেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উঠে এসেছেন বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, কাগিজো রাবাদার মতো তারকা ক্রিকেটাররা।

পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। বলা চলে, এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়েই বাংলাদেশ। আজকের মোস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজরা বয়সভিত্তিক ক্রিকেটেরই আবিষ্কার। আন্তর্জাতিক আঙিনায় প্রবেশ করেই নিজ নিজ পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল তারা। অনূর্ধ্ব-১৯ এর গন্ডি পেরোতেই এরা এসেছেন বাংলাদেশ দলে। খেলছেন দাপুটে ক্রিকেট।

পাইপলাইনে রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন তরুণ প্রতিভা-যারা কিনা বাংলাদেশের ক্রিকেটের চেহারাই বদলে দিতে পারেন। অসংখ্য প্রতিভার মাঝ থেকে চূড়ান্ত স্কোয়াড গঠন করতে বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক এহসানুল হক সেজানকে পড়তে হচ্ছে মধুর সমস্যায়!

ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপের ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঠিক করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে তাকে। সেজানের মতে, স্কিলের দিক থেকে ক্রিকেটারদের পার্থক্য উনিশ-বিশ।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নির্বাচক হিসেবে আট বছর ধরে ‍কাজ করছেন এহসানুল হক সেজান। বর্তমানে বয়সভিত্তিক দলের সিনিয়র নির্বাচক তিনি। তার সঙ্গে নির্বাচক প্যানেলে আছেন আরও দুই সাবেক ক্রিকেটার-হান্নান সরকার ও হাসিবুল হোসেন শান্ত।

শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ দলই নয় অ-১৪ ও অ-১৫ দলেও রয়েছে প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার। বয়সভিত্তিক দলগুলো নিয়ে জানতে চাওয়া হলে এহসানুল হক সেজান বাংলানিউজকে বলেন, ‘দিন দিন আমরা সুখকর কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। কারণ স্কিলের দিক থেকে প্লেয়াররা খুব সিমিলার। ওখান থেকে পারফেক্ট প্লেয়ারটা পিক করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এটা অবশ্য অনেক সুখকর একটা ব্যাপার আমাদের জন্য। আগে খুব সহজে পিক করা যেত। স্কিলটা উনিশ-বিশ। আগে পার্থক্য ছিল পনোরো-বিশের মতো। ন্যাশনাল কম্পিটিশন যেটা হয় ওখানে সবাই পারফর্ম করছে। ’

নির্বাচক হিসেবে আট বছরের অভিজ্ঞতায় সেজান জানেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের আদ্যোপান্ত। তার বিচারে বর্তমান অ-১৯ দল ‍ছাড়িয়ে যাবে আগের ব্যাচটিকে, ‘আমার অভিজ্ঞতা থেকে যদি বলি, শেষ  পাঁচ-সাতটা ব্যাচ যারা বের হয়েছে তাদের প্র্যাকটিস ম্যাচগুলোতে ২১০-২২০ রান হতো। যেটা চেজ করা কঠিন। এবার দেখলাম প্রত্যেকটা অনুশীলন ম্যাচেই ২৫০-২৬০ এর মতো রান হয়েছে। এই জায়গায় ‍অনেক এগিয়ে ওরা। সত্যি বলতে প্লেয়াররা পারফর্ম  করছে। ধ্রুব (আফিফ হোসেন) নামে একটা ছেলে আছে। রাজশাহী কিংসের হয়ে বিপিএলে ডাক পেয়েছে। সে কিন্তু অনুশীলন ম্যাচে দেড়শ রানের ইনিংস খেলেছে। অধিনায়ক সাইফ হাসান সেঞ্চুরি করেছে। ’

সেজানের আশা, অনূর্ধ্ব-১৯ এর বর্তমান দল থেকে অন্তত অর্ধেক ক্রিকেটার ভবিষ্যতে জাতীয় দলে খেলার সক্ষমতা অর্জন করবে, ‘সবাই তো আর জাতীয় দলে খেলতে পারবে না। এখান থেকে অর্ধেক প্লেয়ারও যদি যায়...। ন্যাশনাল টিমের যে গ্যাপগুলো রয়েছে সে গ্যাপগুলো পূরণের জন্যই কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলটা গঠন করা হয় এবং তাদের মনিটরিং করা হয়। অতীতে এখান থেকে ভালো ভালো প্লেয়ার এসেছে। মিরাজ পারফর্ম করছে। সৈকত পরিণত হচ্ছে। আশা করি, এর চেয়েও ভালো প্লেয়ার আমরা ভবিষ্যতে বয়সভিত্তিক দলগুলো থেকে দিতে পারবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
এসকে/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।