ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিশেষজ্ঞ দল স্পিনারদের যাচাইবাছাই করবেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
বিশেষজ্ঞ দল স্পিনারদের যাচাইবাছাই করবেন ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে স্পিন বোলার খুঁজে বের করে আনতে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬৪টি জেলার ৬৯টি ভেন্যুতে শুরু হচ্ছে ‘খোঁজ দ্য নাম্বার ওয়ান স্পিনার’ হান্ট কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে তিনটি ধাপে যাচাইবাছাই শেষে চূড়ান্ত যে ১০ স্পিনারকে বিজয়ী বলে ঘোষণা দেয়া হবে তাদেরকে অবশ্যই প্রতিভাবান হতে হবে বলে জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি মাহবুব আনাম।

প্রতিভাবান বলতে মাহবুব আনাম বুঝিয়েছেন, প্রথমত স্পিন ডেলিভারিটি সঠিকভাবে দেয়ার সামর্থ্য তার থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, স্পিন কৌশল সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে।

আর তৃতীয়ত, তার অ্যাকশনটি আইনগতভাবে সিদ্ধ হতে হবে। যদি অ্যাকশনে কোন ভুল-ত্রুটি থেকেও থাকে, তা পরে যেন সংশোধনযোগ্য হয়।

মাহবুব আনাম আরও বলেন, ‘দক্ষ স্পিনার ছাড়া বিশ্বমানের বোলিং আক্রমণ নিশ্চিত করা সম্ভব না। স্পিন বোলিং এখন শিল্পে পরিণত হয়েছে, বল ঘুরাতে পারাটাই যথেষ্ট নয়। বলের গতিপথের ধাঁধাঁয় ফেলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করাই স্পিনারের কাজ। স্পিনার হান্টের এই কার্যক্রমে আমাদের বিশেষজ্ঞ দল স্পিন বোলিংয়ের এসব বিষয় যাচাইবাছাই করে দেখবেন। এ ধরনের প্রতিভা খুঁজে বের করে আনার জন্য আয়োজক রবিকে  আমরা ধন্যবাদ জানাই। ’   

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে ‘খোঁজ দ্য নাম্বার ওয়ান স্পিনার’ নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এসময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান রবি’র ব্র্যান্ড ও মার্কেট কমিউনিকেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার আশরাফুল হক।

পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খন্দকার আশরাফুল হক বলেন, ‘ফাস্ট বোলার হান্টের মাধ্যমে আমরা ইতোমধ্যে দেশ থেকে একঝাঁক তরুণ ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করেছি। এদের মধ্যে কয়েকজন জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে। আমার বিশ্বাস ‘খোঁজ দ্য নাম্বার ওয়ান স্পিনার’ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা দেশকে বিশ্বমানের স্পিন বোলার উপহার দিতে পারবো। ’   

১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া স্পিনার হান্টের এই কার্যক্রম চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত। ১৪-২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে, ৬৪টি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থা তাদের প্রতিটি জেলা স্টেডিয়ামে দিনব্যাপি অংশগ্রহণকারী স্পিনারদের জন্য ট্রায়াল সেশনের আয়োজন করবে। মেধাবী স্পিনারদের বাছাই করতে বিভাগীয় কোচের নেতৃত্বে এবং জেলা কোচের সহযাগিতায় গঠিত একটি টেকনিক্যাল টিম নিয়োজিত থাকবে। এ পর্যায়ে প্রতিটি জেলায় ছেলে ও মেয়ে মিলিয়ে ২৫ জন স্পিনার নির্বাচন করা হবে।

প্রথম ধাপ থেকে নির্বাচিতরা ৩-১৭ মার্চ অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপে ১০টি বিভাগীয় অথবা সম পর্যায়ের ভেন্যুতে অংশগ্রহণ করবে। এ পর্যায়ে বিসিবির সেন্ট্রাল টেকনিক্যাল টিম স্পিনার বাছাইয়ে নিয়োজিত থাকবে। এই পর্ব থেকে মোট ৬০জন স্পিনার বাছাই করা হবে তৃতীয় ধাপের জন্য।

২০-২৭ মার্চ তৃতীয় ধাপটি হবে আবাসিক। পুরো পর্বটি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে। বিসিবির সেন্ট্রাল টেকনিক্যাল টিম ট্যালেন্ট হান্ট বাছাইয়ের এই পর্বটি পরিচালনা করবেন। এখানে দ্বিতীয় পর্ব থেকে বাছাইকৃত ৬০জন স্পিনারের শারীরিক সামর্থ যাচাই এবং ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তাদের বোলিং পর্যবেক্ষণ করে ১০জন ছেলে-মেয়েকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমএমএস/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।