এ রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১০১। সাকিব ৫৩ ও সাব্বির ১৮ রানে ব্যাট করছেন।
আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও অর্ধশতকের পর মান বাঁচানোর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে এসে ব্যর্থ মুশফিকুর রহিমের ব্যাট। দলীয় ২০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলাটাই ছিল আসল চ্যালেঞ্জ।
১২তম ওভারে আন্দাইল ফেলুকভায়োকে অযথাই ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে নিজের উইকেটটা বিলিয়ে দিয়ে দলকেও বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’। মিড-অফে মুশফিকের ক্যাচটি লুফে নেন কাগিসো রাবাদা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও (২) হতাশ করেন। তাকে এলবিডব্লু করে আন্তর্জাতিক অভিষেকেই উইকেট উদযাপনে মাতেন উঠতি অলরাউন্ডার উইলেম মুল্ডার। ৬১ রানে পাঁচ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
বিশাল টার্গেটে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ড্যান প্যাটারসনের বলে মিড-অফে ফারহান বেহারদিনের হাতে ধরা পড়েন ইমরুল কায়েস (১)। চতুর্থ ওভারে এলবিডব্লু হয়ে প্যাটারসনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন লিটন দাস (৬)। ইনজুরির কারণে তামিম ইকবাল ছিটকে পড়ায় একাদশে ফেরেন সৌম্য সরকার। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। পরের ওভারেই দলীয় ২০ রানে কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে আইদেন মার্করামের তালুবন্দি হন সৌম্য (৮)।
এর আগে কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসি ও আইদেন মার্করামের অর্ধশতকে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৬৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা। অাগের ম্যাচে ৩৫৪ রানের টার্গেটে নেমে ১০৪ রানে হারতে হয়েছিল মুশফিকদের। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিক শিবির।
ফারহান বেহারদিন ২৪ বলে ৩৩ ও কাগিসো রাবাদা ১১ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ক্যারিয়ারের নবম ওডিআই সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি (৯১)। মাশরাফির করা ৪১তম ওভারেই রানআউট হন অভিষিক্ত আইদেন মার্করাম (৬৬)। দলীয় স্কোর তখন ২৮৯/৩। ১৩২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর এ দু’জনের ১৫১ রানের পার্টনারশিপেই বড় স্কোরের ভিত পায় স্বাগতিক শিবির।
ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্কে অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশকে পঞ্চাশতম ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দুই টেস্ট আর দুই ওয়ানডের পর টস জয়ের দেখা পান ডু প্লেসি।
ইনিংসের ১৭.৫ ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। বিশ্রামে থাকা হাশিম আমলার জায়গায় ওপেন করা তেম্বা বাভুমাকে (৪৮) লং-অনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ডি ককের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটিতে আসে ১১৯।
১৩ রান যোগ হতেই আবারো সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যমণি বনে যান নাসির হোসেনের জায়গায় একাদশে ফেরা মিরাজ। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ছন্দে থাকা ডি কককে মাঠছাড়া করেন এই অফস্পিন অলরাউন্ডার। আউট হওয়ার আগে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
ম্যাচের শেষদিকে ওডিআই সিরিজে উইকেট খরা কাটান তাসকিন আহমেদ। একই ওভারে মুল্ডারকে (২) বোল্ড করার পর ফেলুকভায়োকে (৫) মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি করেন। আগের ওভারেই (৪৬তম) রুবেল হোসেনের বলে মাশরাফির ক্যাচে পরিণত হন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা এবি ডি ভিলিয়ার্স (২০)।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম