আর এটা শ্রীলঙ্কার জন্য পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে এশিয়ান কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা সিরিজ হার। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ৫-০তে নিজেদের মাটিতেই হোয়াইটওয়াশ হয় লঙ্কানরা।
শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা ২৬.২ ওভারে ১০৩ রানেই গুটিয়ে গেছে। লঙ্কান ব্যাটিংয়ের টপঅর্ডারকে গুঁড়িয়ে দেন মাত্রই দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার উসমান খান। ১০৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম উল হক এবং ফখর জামান বিচ্ছিন্ন হন দলীয় ৮৪ রানের মাথায়। ১৭তম ওভারে ব্যক্তিগত ৪৮ (৪৭ বলে ৭টি চার) রান করে বিদায় নেন ফখর জামান। ইমাম ৪৫ ও ফাহিম আশরাফ ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। দলকে জেতাতে পাকিস্তান খেলে মাত্র ২০.২ ওভার।
এর আগে নিজের ২১ ডেলিভারিতেই ৫ উইকেটের দেখা পান উসমান। যা ২০০১ সালের পর তৃতীয় দ্রুততম পাঁচ উইকেট শিকার। এর আগে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার পেসার চামিন্দা ভাস নিজের করা ১৬ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। আর ২০১৩ সালে ভ্যান ডার গাগটেন কানাডার বিপক্ষে ২০ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট দখল করেছিলেন।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা দলীয় ২০ রানেই টপঅর্ডারের পাঁচ উইকেট হারায়। প্রথম পাঁচটি উইকেটই তুলে নেন উসমান খান। নিজের করা প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই উসমান বোল্ড করেন সামারাউইক্রামাকে। পরের বলেই সাজঘরে পাঠান দিনেশ চান্দিমালকে। নিজের দ্বিতীয় আর দলের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে উসমান তৃতীয় বলে বোল্ড করেন থারাঙ্গাকে। আর পঞ্চম বলে এলবির ফাঁদে ফেলেন নিরোশান দিকওয়েলাকে।
নিজের চতুর্থ আর দলের সপ্তম ওভারে আক্রমণে এসে উসমান সাজঘরে পাঠান মিলিন্দা সিরিবর্ধানেকে। দলীয় ২০ রানেই টপঅর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে লঙ্কানরা। কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে ব্যক্তিগত ১৯ রান করেন লাহিরু থিরিমান্নে। তবে, এই সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করা পেসার হাসান আলির শিকারে দলীয় ৪৯ রানের মাথায় থিরিমান্নেকেও হারায় লঙ্কানরা।
এরপর দলকে টানার চেষ্টা করেন সেকুজে প্রসন্ন। শাদাব খানের দারুণ ফিল্ডিংয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন ১৬ রান করা প্রসন্ন। দলীয় ৬৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ২৯ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে স্রোতের বিপরীতে ব্যাট করছিলেন থিসারা পেরেরা। কিন্তু দলীয় ২২তম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ২৫ রানে তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দেন শাদাব খান। একই ওভারের শেষ বলে ভ্যানডারসেকে এলবির ফাঁদে ফেলেন শাদাব। ১১ রান করা চামিরাকে বিদায় করে ১০৩ রানেই লঙ্কানদের আটকে দেন হাসান আলি।
প্রথম স্পেলে ৫ ওভার বল করে উসমান ২৪ রান খরচায় নেন ৫টি উইকেট। পরে আরও দুটি ওভারের স্পেল করলেও উইকেট পাননি। শাদাব খান দুটি আর হাসান আলি দুটি করে উইকেট পান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দুটিতেই জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথম টেস্টে ২১ রানের জয়ের পর শেষ ম্যাচে লঙ্কানরা জিতেছিল ৬৮ রানে। এরপরই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি লঙ্কানদের। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮৩ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে ৩২ রানে, তৃতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে আর চতুর্থ ম্যাচে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে লঙ্কানরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি