লিগের ভেন্যু হিসেবে থাকছে বিকেএসপি, ফতুল্লা এবং মিরপুর শের-ই-বাংলা। আবাহনী মাঠ নিয়েও কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।
এবারের লিগে প্রতিদিন তিনটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন বিরতি রাখা হয়েছে। যেটি রিজার্ভ হিসেবে গণ্য করা হবে। কোনো কারণে ম্যাচ রিজার্ভ ডে’তেও অনুষ্ঠিত না হলে দু’দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে।
প্রতি দলে ১ জন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে পারবেন। চাইলে তারা আগের দল ছেড়ে যে কোনো দলে যেতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ক্লাবের কোনো ক্লিয়ারেন্স তাদের লাগবে না।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সিসিডিএম সভা শেষে এসব তথ্য দেন সভাপতি কাজী ইনাম আহমেদ।
লিগের দিন তারিখ নিয়ে জানান, ‘আমরা যে তারিখে ক্রিকেট মৌসুমের শুরু করতে চেয়েছিলাম সেটা করতে পারছি। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। সুপার লিগের আগে আমাদের প্রথম রাউন্ডের পুরো খেলাটা শেষ হয়ে যাবে মার্চের ২০ তারিখ। ’
‘আমাদের এবারের সূচি যেভাবে করা হয়েছে, প্রত্যেক দিন খেলা হবে তিনটা মাঠে; ছয়টা টিম খেলবে। এরপর একদিন রিজার্ভ ডে থাকবে, তারপরে আবার খেলা হবে আবার গ্যাপ ডে থাকবে। যেহেতু গ্যাপ ডে’টা রেস্ট ডে হিসেবে থাকবে আমরা সেটাকে রিজার্ভ ডে গন্য করবো। কোন কারণে যদি গ্যাপ ডে’তেও খেলা না হয় তাহলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। ম্যাচ অন্য কোথাও শিফট হবে না। তখন একই মাঠে পরের ম্যাচ চলে যাবে। ’-যোগ করেন ইনাম।
জার্সির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু ব্যাপারে আমরা এবার সিসিডিএম থেকে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি। যেটা হচ্ছে; একটা ক্লোথিং রেগ্যুলেশন করেছি যা সকল টিমকে দেয়া হয়েছে। আমরা যেটা নিশ্চিত করতে চেয়েছি অল দ্য টিম লুকস স্মার্ট। দ্য ঢাকা প্রিমিয়ার লুকস ভেরি নাইস। জার্সিতে আমরা টুর্নামেন্টর লোগো নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেছি। যেটা বুকের ডান পাশে ও দুই বাহুতে স্পষ্ট দেখা যাবে। বুকের বাঁপাশে টিম লোগো থাকতে পারবে। ’
লিগের নিয়মকানুন প্রতিটি দলকেই বই আকারে দেয়া হবে জানান সিসিডিএম সভাপতি, ‘সকল টিমকে প্লেয়ারস হ্যান্ডবুক যেটা দেয়া হয় অল দ্য রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস ফর দ্য টুর্নামেন্ট, এটার একটা ড্রাফট আজকে সকল টিমকে দিয়েছি। ওনাদের কমেন্টস থাকলে আমাদের দেবেন। এবং সেটাকে বই আকারে দিয়ে দেব। ’
আবাহনী মাঠে খেলা হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে যেটা চেষ্টা করেছি আমাদের গত বছর যেটা ছিল বিকেএসপিতে ও ফতুল্লাতে খেলা হবে। আবাহনী মাঠের বিষয়টা আমি আগেও বলেছি। বিষয়টি আমরা আবাহনী মাঠের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি। মাঠের কিছু ডেভেলপমেন্ট কাজ বাকি আছে। যত দ্রুত সম্ভব করার চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে হবে না কি জানি না। ’
বিদেশি ক্রিকেটার প্রসঙ্গে কাজী ইনাম আহমেদের মন্তব্য হলো, ‘একজন করে খেলতে পারবে। আনলিমিটিডে সাইনিং আছে। এবং বিদেশি প্লেয়াররা চাইলে যে কোনো দলে যেতে পারবে। আগের দল থেকে ক্লিয়ারেন্স লাগবে না। ’
সুপার লিগ থেকে সম্প্রচারের সম্ভাবনার কথা জানান ইনাম আহমেদ, ‘এক দুইটা চ্যানেলের সাথে আলাপ করেছি। যদি সম্ভব হয় অবশ্যই চেষ্টা করবো সুপার লিগের কিছু খেলা যদি লাইভ ব্রডকাস্ট করা যায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম