২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা টিম বাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর করাচিতে এটিই হতে যাচ্ছে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এই দীর্ঘ সময়টায় পাকিস্তান প্রায় সব হোম সিরিজই খেলেছে আরব অামিরাতে।
২০১৫ সাল থেকে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের শুরু। জিম্বাবুয়ে, বিশ্ব একাদশ ও সবশেষ সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলতে পাকিস্তানে পা রাখে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সবগুলো ম্যাচই সম্পন্ন হয় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
এদিকে, চলমান পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালও (২৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। দু’টি প্লে-অফ ম্যাচ হবে গত আসরের ফাইনালের ভেন্যু লাহোরে।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল সবশেষ মার্চের শেষ সপ্তাহে। তার আগে গত বছরের নভেম্বরে প্রথম এর দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু কৌশলগত চ্যালেঞ্জ, নভেম্বরে দেশের বড় অংশজুড়ে তীব্র ধোঁয়ার কারণে বাধ্য হয়ে সিরিজটি স্থগিত করা হয়।
তখন নিরাপত্তা ইস্যুতে সন্তুষ্ট ছিল ক্যারিবীয় বোর্ড। সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান আয়োজন করে বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয় সেখানে। সন্ত্রাসী হামলার শিকার লঙ্কান টিম দীর্ঘ সময় পর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যায়।
লাহোরের পর এবার করাচিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখার উপলক্ষ পাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটপাগল দর্শকরা। নাজাম শেঠির কথায়, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে আমি দিনে রাতে কাজ করেছি। ভালো খবর হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিনটি ম্যাচ খেলবে (১, ২ ও ৪ এপ্রিল)। কিন্তু এই ম্যাচগুলো হবে করাচিতে। তারা লাহোরে নয় খেলবে করাচিতে। আবারো করাচিকে ক্রিকেট মানচিত্রে ফেরাতে এটাই আমরা চেয়েছি। পিএসএল ফাইনাল এবং এখন আরও তিনটি ম্যাচ হবে সেখানে। করাচির মানুষদের এটিকে স্বাগত জানানো উচিৎ। ’
এই সিরিজ সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পিএসএল ফাইনালের সময় আইসিসিরি নিরাপত্তা পরামর্শক রেগ ডিকাসন করাচি পরিদর্শন করবেন বলেও জানিয়েছেন শেঠি, ‘রেগ ডিকাসন ও তার টিম পিএসএল ফাইনালের সময় এখানে থাকবে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচগুলো তত্ত্বাবধান করার জন্যও আমরা তাদেরকে চুক্তিবদ্ধ করেছি। তারা এখানে সাতদিন থাকবেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের নিরাপত্তা পরিচালনা করবেন। এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সঙ্গে আমাদের চুক্তির অংশ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, ১২ মার্চ, ২০১৮
এমআরএম