সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া-২৪৩ ও ২৩৯
দ.আফ্রিকা-৩৮২ ও ১০২/৪ (২২.৫ ওভার)
স্বাগতিকদের জয় অবশ্য তৃতীয় দিনই প্রায় ঠিক হয়েছিল। যেখানে এবি ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরির পর অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামানোর মূল কারিগর ছিলেন পেসার কাগিসো রাবাদা।
তৃতীয় দিন পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮০ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। যেখানে ৩ উইকেট লাভ করেন রাবাদা। আর চতুর্থ দিন মাত্র ৫৯ রান যোগ করতে পারলে সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস ২৩৯ রানে থামে। ফলে প্রোটিয়াদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ১০১ রান।
এর আগে অজিরা নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪৩ রানে অলআউট হলে দ.আফ্রিকা ৩৮২ রানে থামে। ১২৬ রান করে ক্যারিয়ারের ২২তম সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
অন্যদিকে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও জ্বলে ওঠেন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার রাবাদা। প্রথম ইনিংসে তিনি ৫ উইকেট লাভ করেন। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে তুলে নেন ৬টি উইকেট। আর ক্যারিয়ারে মাত্র ২২ বছর বয়সে চুতর্থবার এক টেস্টে ১০ বা তার বেশি উইকেট শিকার করে দারুণ এক রেকর্ডের মালিক হন এই ডানহাতি। এর আগে ২৩ বছরের আগে একমাত্র পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিসই ৪বার টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন।
চতুর্থ দিন রাবাদাকে দারুণ সঙ্গ দেন আরেক পেসার লুনগি এনগিদি। তিনি ও স্পিনার কেশব মাহারাজ এই ইনিংসে ২টি করে উইকেট পান।
অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন আগের দিনেই আউট হওয়া উসমান খাজা (৭৫)। আর দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের মধ্যে মিচেল মার্শ ৪৫ রানে রাবাদার বলে বোল্ড হন। তবে টিম পেইন ২৮ রানে নট আউট থাকেন।
১০১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে সহজ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দ.আফ্রিকা। ডি ভিলিয়ার্স দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ করে আউট হন। প্রথম ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করা হাশিম আমলা করেন ২৭। আর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস (২) ও থিউনিস ডি ব্রুইন (১৫) অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ১২ মার্চ, ২০১৮
এমএমএস