শুধু মুশফিকই কেন? ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের ২৯ বলে ৪৭ ও লিটন দাসের ১৯ বলে ৪৩ রানের বিষ্ফোরক ইনিংসও ঐতিহাসিক এই জয়ের জ্বালানি যুগিয়েছে।
এই যখন দলের অবস্থা তখন অবচেতন মনে একটি প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে, পারবে তো টাইগাররা? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওমন দাপুটে জয়ের ধারাবাহিকতা রোহিত শর্মাদের বিপক্ষেও ধরে রেখে টুর্নামেন্টের ফাইনালের পথ মসৃণ করতে? ঐতিহাসিক কিংবা রেকর্ডময় না হোক।
সেই লক্ষ্য নিয়েই হয়তো বুধবার (১৪ মার্চ) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভারতকে মোকাবিলা করবে টাইগাররা।
কী হবে এই জয়ে? ফাইনালে চলে যাবে টাইগাররা? না, তেমন মনে করার কোন কারণ নেই। কেননা জয় ও হারের হিসেব কষতে গেলে লাল-সবুজকে সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৬ মার্চ নিজেদের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। ওই ম্যাচে স্বাগতিকরা জিতে গেলে তিন দলের পয়েন্টই সমান হবে (৪)। তখন আসবে রান রেটের হিসেব। সেখানে যারা শ্রেয়তর রান রেটে থাকবে তারাই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করবে।
তাই আপাতত ভারত বধই মামুদউল্লাহদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু কাজটি কতটা সহজ হবে সেটাই এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
কেননা, নিজেদের শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের হেসে খেলেই হারিয়ে দিয়েছে ভারত। ১৫৩ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য টপকে গেছে ৪ উইকেটে খরচায়। হাতে ছিল আরও ৯টি বল।
ঠিক এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলতে তাই হিসেবি এবং অলআউট ক্রিকেট খেলার কোনো ব্যতিক্রমই নেই। হিসেবি হবেন কারা? অবশ্যই বোলাররা। সেদিনের ম্যাচের মতো তাসকিন, মোস্তাফিজ, রুবেলদের রানের হাফ সেঞ্চুরি করলে চলবে না। যতটুকু কিপটে হওয়া সম্ভব, হতে হবে ঠিক ততটুকুই।
আর অলআউট খেলতে হবে ব্যাটসম্যানদের। তাদের কোনভাবেই ভুলে গেলে চলবে না, ভাগ্য সাহসীদের পক্ষেই থাকে। তাই বলে যা খেলার নয় তাও খেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে নয়। বল যাচাই করে শট সিলেকশনে হতে হবে নিখুঁত।
দু’বার করে একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার পর নির্ধারিত হবে ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের দুই ফাইনালিস্ট। তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে টিম ইন্ডিয়া। সমান ম্যাচে এক জয় ও দুই হারে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লঙ্কানদের সংগ্রহ ২। সমান ২ পয়েন্টে রান রেটে পিছিয়ে এক ম্যাচ কম খেলা বাংলাদেশ। তিন দলের নেট রান রেট যথাক্রমে ০.২১০, -০.০৭২, -০.২৩১।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ১৩ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম