ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘হয়তো আমরা শ্রীলঙ্কার শত্রু ছিলাম’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
‘হয়তো আমরা শ্রীলঙ্কার শত্রু ছিলাম’ ছবি: শোয়েব মিথুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। কিন্তু গ্যালারিতে দর্শকদের উল্লাস, উচ্ছ্বাসে একবারও কী তা মনে হয়েছে? বরং এটা মনে হয়েছে, স্বাগতিকরাই টাইগারদের বিপক্ষে খেলছে। পরিতাপের শেষ এখানেই নয়!

ভারতের জয়ের পর লংকানরা যেভাবে গগনবিদারী চিৎকার করেছে এবং তাদের সাথে নিজ দেশের পতাকা হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করেছে তাতে যে কারোই মনে হতেই পারে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার শত্রু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

ব্যতিক্রম থাকলেন না, টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও।

লঙ্কানদের আচরণে তার মনে হয়েছে, ১৬ মার্চের ম্যাচে তাদের সাথে মাঠে সাকিবের আবেগপ্রবন হয়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে মাহমুদউল্লাহর ছক্কায় ফাইনালে ওঠায় লঙ্কানরা এমন আচরণ দেখিয়েছেন।

ছবি: শোয়েব মিথুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম‘দর্শকতো আমাদের বিপক্ষে থাকবে এটা খুবই স্বাভাবিক। কালকে স্বাগতিক দেশ ছিল না। কিন্তু আমাদের বিপক্ষে এতো সমর্থন ছিলো মানে বাংলাদেশের হয়ে পুরো হতাশই আমি। যদিও আমাদের বাংলাদেশি সমর্থকও ছিল বেশ কিছু। সবার মাঝে তাদের আওয়াজটা খুবই কম হয়েছে। তবে এটা খেলারই অংশ। হয়তো আমরা শ্রীলঙ্কার শত্রু ছিলাম, আমাদের কারণে তারা ফাইনালে উঠতে পারেনি। এই আক্রোশ থেকে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে সমর্থন দিয়েছে। ’

সোমবার (১৯ মার্চ) নিদাহাস ট্রফি মিশন শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জতিক বিমান বন্দরে এসব কথা বলেন সুজন।

ছবি: শোয়েব মিথুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসুজন এসময় কথা বলেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬ মার্চের ওই ম্যাচে ‘নো’ বল ইস্যুতে সাকিবের আবেগপ্রবণ হওয়া নিয়েও, ‘আমি একদমই বলবো না যে প্রতিবাদ করাটা ওইভাবে ঠিক ছিল। কারণ দিন শেষে এটা খেলা। ক্রিকেট খেলা। সাকিব যেটা করেছে পুরো আবেগি হয়ে করেছে হয়তো। আর আমরা নিজেরাও দেখছিলাম ‘নো’ বল ডাকা হয়েছে তারপরও ‘নো’ বল কেন দেওয়া হবে না। আম্পায়াররাও জানেন। আম্পায়াররা যে ভুল করেছে সেটা আপনারাও জানেন। ’

‘হয়তোবা একটু বেশি প্রতিবাদের ভাষা হয়ে গেছে।  যেহেতু টিভি ক্যামেরায় এটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তবে আমি মনে করি এক দিক থেকে সাকিবের অ্যাগ্রেসিভ হওয়া দরকার ছিল কারণ অনেক টুর্নামেন্টেই এমন হয়েছে। কারণ বিশ্বকাপে মেলবোর্নে আপনি যদি দেখেন ওইখানেও আমাদের বেশ কিছু সমস্যা হয়েছিল। আম্পায়ারের এমন কিছু সিদ্ধান্তে আমাদের এমন হতে হয়েছে। তো তারপরও পরিস্থিতি ঠিক হয়েছে আমরা খেলেছি, খেলে দারুণ জবাব দিয়েছি মাঠে। সেটাই বড় ব্যাপার ছিল আমাদের জন্য। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ১৯ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।