তার আনকোরা এই উদযাপনটি এতোটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল সতীর্থ মুশফিকুর রহিম এমনকি ওই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার আনন্দে সেই নাগিন নাচ নেচে উদযাপন করেছিলেন। বাদ যাননি দলের অন্যান্য সদস্যরাও।
অবশ্য এর শুরুটা করেছিলেন বিপিএলের ৫ম আসর থেকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত তিন জাতির নিদাহাস ট্রফিতেই।
সেই আনকোরা উদযাপন দেরাদুনের সিরিজেও করতে চান এই বাঁহাতি স্পিনার। তার বোলিংয়ের যাদুতে আফগানদের উইকেটছাড়া করতে চান আজগর স্ট্যানিকজাই ও তার দলকে।
‘অবশ্যই আশাবাদী। আমার প্রথম কাজই হচ্ছে ভালো বোলিং করা, উইকেট নেওয়া। উইকেট নিলে তো উদযাপন হবেই। ভালো অনুশীলন হচ্ছে, ভালো আত্মবিশ্বাস আছে, আশা করি এবার ভালোভাবে হবে, আরও বেশি হবে (এই উদযাপন)। ’
মঙ্গলবার (২২ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাগিন নাচের উদ্ভাবক তিনি নিজেই উল্লেখ করে অপু আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ উদযাপন আমার হাত ধরেই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দুর্ভাগ্যজনক দুটি চান্স মিস হয়েছে। ক্রিকেটে এটা হতে পারে। চেষ্টা করব দেশের হয়ে সর্বোচ্চটা দিতে। ’
দেরাদুনের আসন্ন এই সিরিজে টাইগার স্কোয়াডে সাকিবের সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনে সঙ্গ দেবেন একমাত্র তিনিই। নিদাহাস ট্রফিতেও বাঁহাতি স্পিন আক্রমণে সাকিবের সঙ্গে তিনিই ছিলেন। সেখানে দারুণ এক টিম ওয়ার্কের মধ্য দিয়ে দলের সাফল্যে কাজ করেছেন এই দুই টাইগার স্পিনার। আফগান বধেও তাদের সেই টিমওয়ার্ক অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন অপু।
‘সাকিব ভাই বলছিল আমাকে পেলে সে না কি ভালো আত্মবিশ্বাস পাবে। আমি ইকোনমি বোলিং করছি। আমি বলছিলাম, যেন ইকোনমি বোলিংটাই করি। ব্রেক থ্রু দেওয়ার জন্য সে তো আছেই। এভাবে হলে টিমওয়ার্ক হয়। সে পরিকল্পনাতেই আছি। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব এই জায়গাটা পূরণ করতে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এইচএল/এসএইচ