ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ডি কক আর স্টেইনে ভর করে জয় দেখছে দ. আফ্রিকা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
ডি কক আর স্টেইনে ভর করে জয় দেখছে দ. আফ্রিকা বল হাতে ডেল স্টেইন আগুন ঝরিয়েছেন, এর আগে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন ডি কক-ছবি: সংগৃহীত

কুইন্টন ডি ককের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি আর পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ডেল স্টেইনের দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়া মিলিয়ে তৃতীয় দিন শেষেই জয় দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

জোহানেসবার্গ টেস্টের তৃতীয় দিনে রোববার (১৩ জানুয়ারি) সফরকারী পাকিস্তানের সামনে ৩৮১ রানের টার্গেট দিয়েছে প্রোটিয়ারা। এই বিশাল টার্গেট দিয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন সেঞ্চুরিয়ান ডি কক।

ফলে চতুর্থ দিনের খেলা মাঠে গড়ানোর আগেই ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের সুবাস পাচ্ছে স্বাগতিকরা। তবে শেষ বিকেলে আগ্রাসী ব্যাটিং করে সফরকারীদের হার এড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আসাদ শফিক। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষে ১৫৩ রান সংগ্রহ করেছে সরফরাজবাহিনী।

৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের সংগ্রহ নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত ডি ককে ভর করে সফরকারীদের হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয় স্বাগতিকরা। আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডি কক ও হাশিম আমলা তাদের জুটিটা ১০২ রান পর্যন্ত টেনে নেন। ব্যক্তিগত ৭১ রানে হাসান আলীর বলে উইকেটরক্ষক সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আমলা।

সঙ্গী হারালেও ব্যাটে ধার কমেনি ডি ককের। তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। প্রায় দুই বছর পর সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কেপ টাউনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আমলা বিদায় নেন তখন ডি ককের রান ৫৯। ফলে লোয়ার অর্ডার থেকে তাকে সঙ্গ দেওয়া তখন খুব জরুরী ছিল। সেই কাজটা করে দেখান ভার্নন ফিল্যান্ডার ও কাগিসো রাবাদা। তাদের দুজনের সঙ্গ পেয়েই ১২৯ রান করতে পারেন ডি কক আর দক্ষিণ আফ্রিকাও পায় ৩০৩ রানের সংগ্রহ। শেষ পর্যন্ত তার উইকেটটি তুলে নেন শাদাব খান।

ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোর টার্গেট হিসেবে পেয়ে তা তাড়া করা এত সহজ কাজ নয়। কিন্তু শুরুটা ভালোই করে পাকিস্তান। দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও শান মাসোদ ৬৭ রানের জুটি গড়েন। এটি পুরো সিরিজে দুই দলের সেরা ওপেনিং জুটি। কিন্তু এরপরই পুরনো চেহারায় দেখা দেয় পাকিস্তান। মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন মাসোদ (৩৭) ও ইমাম (৩৫)। দুই উইকেটই ঝুলিতে পুরেন ডেল স্টেইন। এই দুই উইকেট তাকে টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় স্টুয়ার্ট ব্রড ও রঙ্গনা হেরাথের পাশে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

ব্যক্তিগত ১০ রানে জীবন উপহার পান আজহার আলী। রাবাদার বল তার ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক ডি ককের হাতে জমা পড়লেও আম্পায়ার নট আউট জানিয়ে দেন। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায় বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গিয়েছিল। রিভিও না নেওয়ার খেসারত অবশ্য বেশীক্ষণ গুনতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। মাত্র ১০ বল পরেই ব্যক্তিগত ১৫ রানে অলিভিয়েরের বলে বিদায় দেন আজহার। পাকিস্তানের স্কোর তখন ১০৪/৩।

তবে দিনশেষে ৩ উইকেটে ১৫৩ নিয়ে কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি সংগ্রহ করে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। জিততে হলে বাকি ৭ উইকেটে আরও ২২৮ রান তুলতে হবে তাদের। তবে অসমান বাউন্সি উইকেটে এই রান করা পাহাড় ডিঙানোর সমান। এছাড়া প্রোটিয়া পেস অ্যাটাককে সামলানো মোটেই সহজ কাজ নয় তা এরইমধ্যে বুঝতে পেরেছে পাকিস্তান। আসাদ শফিক ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন। চতুর্থ দিনে তার ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে মিকি আর্থারের শিষ্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।