এই নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর এনসিএলে রেকর্ড গড়ে সপ্তম শিরোপা জিতল খুলনা। এক বছর পর আবার শিরোপার স্বাদ পেলো দলটি।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে চতুর্থ বা শেষদিন শুরু করেছিল ঢাকা। আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান রাকিবুল হাসান ও আরাফাত সানি জুনিয়র শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত।
অনবদ্য ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান রাকিবুল। কিন্তু ৯৯ রানে তুষার ইমরান রান আউট করেন তাকে। তাতেই দলীয় ২১৩ রানে ভাঙে রাকিবুল-আরাফাতের ১২৫ রানের জুটি। এর পররই দলীয় ২১৬ রানে শেষ তিন উইকেট হারায় ঢাকা। ব্যক্তিগত ৫৩ রানে আরাফাত ফেরার পরপরই মাহবুবুল আলম অনিক (০), নাজমুল ইসলাম (০) সাজঘরে ফেরেন।
সঙ্গী না পাওয়ায় রানের খাতা না খুলে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ শহীদ। রাজশাহীর দ্বিতীয় ইনিংস থেমে যায় ২১৬ রানে। প্রথম ইনিংসে তাইবুর রহমানের সেঞ্চুরিতে ২৭৯ করেছিল শুভাগত হোমের দল।
খুলনার হয়ে ৪৪ রানে ৫ উইকেট নেন জিয়াউর রহমান। নাহিদুল ইসলাম নিয়েছেন ২ উইকেট।
ঢাকা ব্যাটিংয়ে নেমেছিল দশ জন নিয়ে। কারণ ম্যাচটির দ্বিতীয় দিনে সতীর্থ আরাফাত সানি জু্নিয়রের গায়ে হাত তুলে নিষিদ্ধ হোন শাহাদাত হোসেন রাজীব। এই ঘটনায় তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা ও দুই বছরের স্থগিতাদেশসহ মোট পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে জাতীয় দলের পেসার।
জয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দলীয় ৩ রানে নাজমুলের বলে ওপেনার রবিউল ইসলাম রবিকে (২) হারায় খুলনা। কিন্তু তাতেও জয়ের জন্য বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। এনামুল হক বিজয়ের ঝড়ো ৭৬ বলে ৭৯ এবং অমিত মজুমদারের ৩৩ রানের সুবাদে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা।
এর আগে নুরুল হাসান সোহানের অপরাজিত ১৫০ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৩৭৯ রান করেছিল খুলনা। দুর্দান্ত এই ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন স্বাগতিকদের এই অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক।
এই জয়ে টায়ার-ওয়ানে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো খুলনা। ৬ ম্যাচে ৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৩৯.৮১ পয়েন্ট পেয়েছে সোহানের দল। সমান ম্যাচে ১ জয়, ১ পরাজয় ও ৪ ড্রয়ে ২৪.৩৯ পয়েন্ট নিয়ে রানার্স আপ ঢাকা। ২১.৪৬ পয়েন্ট নিয়ে টায়ার-ওয়ানের তৃতীয় স্থানে আছে রংপুর। ৬ ম্যাচে ১ জয় ও ২ হারের পাশাপাশি ৩টিতে ড্র করেছে তারা। সমান ম্যাচে ১ জয়, ৩ হার ও ২ ড্রয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা রাজশাহীর পয়েন্ট ১৮.৬৫।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
ইউবি