ফজলে মাহমুদের সেঞ্চুরিতে বরিশাল প্রথম ইনিংসে ৪১৪ রানের পাহাড় গড়ে। জবাবে শামসুর রহমান ও মার্শাল আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে ৪৬৬ রান করে উল্টো স্বাগতিকদের চাপে ফেলে দেয় ঢাকা মেট্রো।
লিড নেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন কিছুটা অস্বস্তিতে কাটে বরিশালের। তবে এবারও বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে হাসে ফজলে মাহমুদের ব্যাট। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে চতুর্থদিন শুরু করা স্বাগতিকদের খাদ থেকে উদ্ধার করেন তিনি। নুরুজ্জামান (১০), সোহাগ গাজীকে (১৯) আরাফাত সানি দ্রুত বিদায় করলেও ফিফটি তুলে নেন ফজলে। আসিফ হাসানের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হওয়ার আগে ১১৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর বরিশালের হাল ধরেন সালমান হোসেন ও মঈন খান। ৫৩ রানে সালমান আউট হোন তাসকিন আহমেদের বলে। আরাফাত সানি নিজের পঞ্চম শিকার বানান মঈনকে (৮০)। এরপর মনির হোসেনের ১০ ও অধিনায়ক কামরুল ইসলাম রাব্বির ১০ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৯ রানে থেমে ২১৮ রানের টার্গেট নেয় বরিশাল।
আরাফাত সানি ৮৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাসকিনের শিকার ৩টি। ২ উইকেট নিয়েছেন আসিফ।
দিনের শেষদিকে লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা মেট্রো। ততক্ষণে অবশ্য নির্ধারিত হয়ে যায় ম্যাচের ফল কী হতে পারে তা। দলীয় ১৮ রানে রাব্বির বলে বোল্ড হয়ে আজমির আহমেদ (১০) ফিরলেও কোনো প্রকার চাপ সামাল দিতে হয়নি ঢাকা মেট্রোকে। ওপেনার সৈকত আলী ৮ ও শামসুর ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
দুই ইনিংসে এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে দলকে খাদ উদ্ধার করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ফজলে মাহমুদ।
এই ড্রয়ে ৬ ম্যাচে ১ জয়, ১ পরাজয় ও ৪ ড্রয়ে ২৫.৭৯ পয়েন্ট নিয়ে টায়ার-দুইয়ে দ্বিতীয় হয়ে ষষ্ঠ রাউন্ড শেষ করলো ঢাকা মেট্রো। সমান জয়-পরাজয় ও ড্রয়ে ২১.৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছে বরিশাল। সিলেট বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনেই হেরে যাওয়া চট্টগ্রাম ২০.৯২ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে। সমান ম্যাচে ৩ জয়, ২ পরাজয় ও ১ ড্রয়ে ৩৬.০৪ পয়েন্ট নিয়ে টায়ার-দুইয়ের সেরা দল সিলেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
ইউবি