ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এইচএস কোডের ভুলের বিষয়ে পজেটিভ আদেশ জারির ঘোষণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এইচএস কোডের ভুলের বিষয়ে পজেটিভ আদেশ জারির ঘোষণা

চট্টগ্রাম: পণ্য আমদানিতে এইচএস কোডের ভুলের বিষয়ে শিগগির পজেটিভ আদেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত প্রাক বাজেট মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বিষয়টি জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধির গতি ও কার্যক্রম সন্তোষজনক। আমাদের যে জনবল তাতে গ্রাম পর্যায়ে কর নেট বাড়ানো কঠিন।

সীমিত জনবল দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাড়ি, হোল্ডিং নম্বর ইত্যাদি কাজে লাগিয়ে কর আদায়ের চেষ্টা করছি। কর দিতে সক্ষম মানুষের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে সেই হারে করদাতা বাড়ছে। এখন ৩১ লাখে উন্নীত হয়েছে করদাতার সংখ্যা। রিটার্ন সহজ করছি। ৪ লাখ ২০ হাজারে উন্নীত হয়েছে ভ্যাটদাতার সংখ্যা।  বিজনেস সহজ করতে সেলফ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে পারেন। লবণ চাষে হাই টেকনোলজি দরকার। লবণ মাঠে পলিথিন ব্যবহারে মান ও উৎপাদন বাড়ছে।  

তিনি বলেন, বিজিএমইএ ডাইভারসিফাই প্রডাক্ট তৈরির চিন্তা করছে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা এত পোশাক রপ্তানি করি আমাদের একটি নিজস্ব ব্রান্ড হলো না কেন! গবেষণায় অর্থ ব্যয় করতে হবে। ব্রান্ডিংয়ের চেষ্টা করতে হবে।  
ভ্যাট এত জটিল ব্যবসায়ীকে আলাদা লোক নিয়োগ দিয়ে রাখতে হয়। আমাদের আরও লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। অনলাইনে ভ্যাট প্রদান আরও সহজ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দৃষ্টিনন্দন ভবন হবে তা নয়, কর ভবন হবে। ট্রেনিং একাডেমি হবে। জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিন বছরে শিল্পায়ন বান্ধব বাজেট করেছি। রাজস্ব আসবে শিল্পায়নের মাধ্যমে। কর দেওয়ার সোর্স যেন রুগণ না হয়।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন এনবিআর সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, ড. শামস উদ্দিন আহমেদ ও জাকিয়া সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।

মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ঢাকার বাইরে সবচেয়ে ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব চট্টগ্রামে পেয়েছি। আয় বাড়লে এনবিআর চিন্তা করবে ভ্যাট কমানো যায় কিনা। ব্যবসা বাণিজ্য সহজ ও বাধাহীন করতে আমরা চেষ্টা করছি।  

ড. শামস উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ সভায় সুন্দর সুন্দর প্রস্তাব এসেছে। করযোগ্য সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব এনবিআরের বিবেচনায় আছে। ইতিমধ্যে রিফান্ড দ্রুত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। নোটিশ অনলাইনে দেওয়ার বিষয়টি ব্যাপক আকারে করা হবে। কর দেওয়ার সংস্কৃতি বাড়াতে হবে। নিজস্ব তাগিদ অনুভব করতে হবে। এখন কর প্রশাসন অনেক গতিশীল, ডিজিটাল।  

জাকিয়া সুলতানা বলেন, বাজেট তৈরির লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে ফেব্রুয়ারি মতামত নেওয়া হচ্ছে। আইন ব্যবসার গতি প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে সংযোজন বিয়োজন করা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা। ভ্যাট আদায়ে তিন লাখ ইএফডি মেশিন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।  

সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও শিল্পগ্রুপের পক্ষে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।