চট্টগ্রাম: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ‘প্রবারণা পূর্ণিমা’য় সরকারি ছুটি ঘোষণাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা।
শুক্রবার (৯ মে) ১১টায় সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়।
নগরের জামালখান রোডস্থ বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সভাপতি ও প্রাক্তন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়ুয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন- পরিষদের উদ্যোগে রোববার (১১ মে) শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, বিশ্বশান্তি ও মানবতার জন্য সম্প্রীতি’ প্রতিপাদ্যকে অন্তরে ধারণ করে সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম ডিসি হিল চত্ত্বর থেকে শুরু হবে শান্তি শোভাযাত্রা।
শান্তি শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শোভাযাত্রা উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে আছে- বৌদ্ধ কৃষ্টি, সংস্কৃতি উজ্জ্বল রাখার স্বার্থে চট্টগ্রামে ‘বুড্ডিস্ট কালচারাল সেন্টার’ স্থাপন করা। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৌদ্ধ তীর্থস্থান দর্শনের সময় ন্যূনতম ১ মাস ছুটি মঞ্জুর করা। বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু মহামান্য সংঘরাজ ও মহামান্য সংঘনায়ককে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও সব সুযোগ সুবিধা প্রদান। বৌদ্ধ অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ১টি করে বৌদ্ধ ঐতিহ্য সম্বলিত সেন্ট্রাল বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করা। দেশের প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ২০১২ সালে সংগঠিত রামু ট্র্যাজেডিসহ অন্য সব বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ গ্রামে সংঘটিত ঘটনার বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠন। বৌদ্ধ উপাসনালয়গুলোতে বিদ্যুৎ বিল মওকুফ ও অন্যান্য সেবাসমূহে ভর্তুকি প্রদান। বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও সূতিকাগার চর্যাপদ তথা পালি ভাষার চর্চা, বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধনে ‘পালি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র’ স্থাপন। দেশের সুপ্রাচীন বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও স্থাপনাগুলোকে সংস্কার, সংরক্ষণ ও প্রতিটি বৌদ্ধ স্থাপনায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ১ জন প্রধান বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ১ জন করে সহকারি নিয়োগ প্রদান এবং দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান অমরেশ বড়ুয়া চৌধুরী, প্রধান সমন্বয়কারী বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি যুবদল নেতা রুবেল বড়ুয়া হৃদয়, অধ্যাপক তুষার কান্তি বড়ুয়া, সাধন কান্তি বড়ুয়া, সুমন বড়ুয়া বাপ্পী, যুবনেতা সপু বড়ুয়া, অসীম কুমার বড়ুয়া, অধ্যাপক মানিক বড়ুয়া, বিকাশ কান্তি বড়ুয়া, সৌরভ চৌধুরী, লায়ন রনি কুমার বড়ুয়া, রুমা বড়ুয়া, তাপস বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৫
এসি/টিসি