ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৩ মে ২০২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘কুরআন মুত্তাকিদের পথ দেখায়’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৪৯, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
‘কুরআন মুত্তাকিদের পথ দেখায়’ ...

চট্টগ্রাম: মাইজভাণ্ডারী গবেষক শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, কুরআন মুত্তাকিদের পথ দেখায়। আল্লাহর অলীরা ঈমানের প্রতীক।

গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (ক.) আল্লাহর রাসূলের (স.) আদর্শ পুনরুজ্জীবিত করেছেন। আর যার মধ্যে জ্ঞানের গভীরতা, মাটির মতো নম্রতা, মনে উদারতা আছে তিনিই আল্লাহর অলী।
 মাইজভাণ্ডার হচ্ছে ঈমানের অভয়ারণ্য।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে ‘শোকর-এ মওলা মনজিল’র ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘জিকরে শাহানশাহ্, মাইজভাণ্ডারী দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর-এ মনজিলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফ।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ও এসঝেডএইচএম ট্রাস্টের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন,  প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্।  

উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন মাহফিল পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ আজম, আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর-এ মনজিলের উপদেষ্টা ডা. পঞ্চানন দাশগুপ্ত। মনজিলের কার্যক্রম সংবলিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন উপদেষ্টা সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জয়নাল আবেদীন তাওরাত ও হারুয়ালছড়ি বৌদ্ধ জেতবন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বোধিশ্রী ভিক্ষু।

প্রধান আলোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্ বলেন, ‘ইসলাম হলো ভালোবাসা তথা মহব্বত ও মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নাম। যার কাছে অন্য ধর্মের মানুষ নিরাপদ তিনিই প্রকৃত মুসলমান’।  

অনুষ্ঠানে শোকর-এ মওলা মনজিল এর নিজস্ব লোগো উন্মোচন করেন অতিথিরা। মাইজভাণ্ডারী সঙ্গীত জগতে অবদান রাখার জন্য ৫ জন বিশিষ্ট শিল্পীকে সম্মাননা স্বরূপ ব্যাচ, উত্তরীয় ও স্মারক প্রদান করা হয়। শিক্ষায় বিভিন্ন পর্যায়ে কৃতিত্ব অর্জন করায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করা হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীকে উপহার স্বরূপ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধি, পেশাজীবী, সমাজ প্রতিনিধি, ওলামায়ে কেরাম, আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর-এ মওলা মঞ্জিল ও জ্যোতি ফোরামের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ, আশেকানে মুস্তাফা, আশেকানে মাইজভাণ্ডারী ও এলাকাবাসী।

অনুষ্ঠান শেষে জিকিরে সেমা মাহফিল পরিচালনা করেন বিমাইজভাণ্ডারী কাওয়াল মুহাম্মদ দেলোয়ার ও হান্নান হোসাইনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।