ঢাকা, রবিবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮ রমজান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খাজা’র সেলাই মানে নিখুঁত সেলাই

সোহেল সরওয়ার, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৫
খাজা’র সেলাই মানে নিখুঁত সেলাই ...

চট্টগ্রাম: ১৯৪০ সালে স্টেডিয়ামপাড়ায় ছোট্ট একটি দোকান দিয়ে শুরু টেইলারিং ব্যবসা। সেই ব্যবসা এখন মহীরুহ ধারণ করেছে।

কুইক টেইলার্স নামের প্রতিষ্ঠানটি সরিয়ে জুবিলী রোডে এনে নাম রাখা হয় ‘খাজা টেইলার্স’।

অবাঙালি কায়সার সেলিমের এই খাজা টেইলার্স এখনও চট্টগ্রামে সেলাইয়ের জগতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক নাম।

অভিজাত শ্রেণির মানুষের কাছে খাজা’র সেলাই মানে নিখুঁত সেলাই। সঙ্গে আছে ভালো মানের কাপড়ও।

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শুরু হয়ে গেছে খাজা টেইলার্সের ব্যস্ততা। রাত-দিন অর্ডার নেওয়া, মাপ নেওয়া আর সেলাইয়ে ব্যস্ত কর্মীরা। আশির দশকে এক দুর্ঘটনার কারণে কায়সার সেলিম ব্যবসায় সময় দিতে না পারলে ব্যবসার হাল ধরেন সন্তান।

কায়সার সেলিমের তিন ছেলে ও ৯ মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সাহেদ সেলিম ১৯৮২ সাল থেকে যুক্ত হন ব্যবসায়। বাবার কাছ থেকে কাপড়ের মাপ ও কাটিং আয়ত্ব করে নেন। ১৯৯১ সালে বাবা মারা যাওয়ার ছোট ভাই জাবেদ সেলিম তার সঙ্গে যুক্ত হন।

এই খাজা টেইলার্সে কাপড় সেলাই করে চট্টগ্রামের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, মেয়র, রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ অভিজাত শ্রেণির মানুষ প্রশংসা করেছেন। এটাই বড় প্রাপ্তি উল্লেখ করে সাহেদ সেলিম বলেন, আমরা বাবার মতো গ্রাহকদের সেবা দিতে চেষ্টা করি। শুধু অভিজাত শ্রেণি নয়, বিভিন্ন পেশার রুচিবান মানুষ আমাদের নিয়মিত গ্রাহক।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে অনেক টেইলারিং শপ গড়ে উঠলেও একমাত্র খাজা টেইলার্স ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। কাজের মান নিয়ে কোনো আপস করি না, গ্রাহককে ঠকানোর কোনো চেষ্টা নেই। বাবার তৈরি করা সুনাম আমরা অক্ষুণ্ন রাখতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৫
এসএস/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।