চট্টগ্রাম: জুলাই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট মো. ইউসুফ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
বুধবার (৯ এপ্রিল) নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন নিহতের পিতা হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ধলই এলাকার বাসিন্দা মো. ইউনুচ। নিহত মো. ইউসুফ নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকার একটি বরফ কারখানার কর্মচারী ছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু, এমএ লতিফ, সাবেক কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, যুবলীগ নেতা আরশাদুল আলম বাচ্চু, নুরুল আজিম রনি, জাফর আলম চৌধুরী, দিদারুল আলম মাসুম প্রমুখ।
মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন ডাবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ। তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের বাবা মামলা করেছেন। পুলিশ তা রেকর্ড করে তদন্ত শুরু করেছে। নিহত ইউসুফ সরকারিভাবে ঘোষিত জুলাই-আগস্ট শহীদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ইউসুফ দেওয়ানহাট এলাকায় বিভিন্ন দোকানে বরফ সরবরাহ করছিলেন। রাত ১১টার দিকে ইউসুফের স্ত্রীর বড় বোনের কাছ থেকে ফোন পান যে, ইউসুফ ডবলমুরিং এলাকায় সহিংসতায় গুলিতে নিহত হয়েছেন। পরে তার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরেদিন হাটহাজারী উপজেলায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের পিতা মো. ইউনুচ বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলে বরফ কারখানায় কাজ করতো। গত ৫ আগস্ট গুলিতে নিহত হয়। আমরা পোস্টমর্টেম না করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে গিয়ে হাটহাজারীতে দাফন করি।
নিহতের বোন মুক্তা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমার ভাই দুই ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। আমার ভাইয়ের ছেলে-মেয়েরা এখনো ছোট। তার মৃত্যুর পর আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৫
এমআই/পিডি/টিসি