চট্টগ্রাম: বাস কাউন্টার মানেই যেন গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রতীক্ষা, হইচই আর বিরক্তিকর অপেক্ষা। কিন্তু সেই চেনা দৃশ্যপটেই এখন বইয়ের গন্ধ! চট্টগ্রামে এমন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাস কাউন্টারে স্থাপন করা হয়েছে ‘স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার’।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) নগরের দামপাড়ার গ্রীন লেইন ও সোহাগ পরিবহন বাস কাউন্টারের দুইটি পাঠাগারে বই উপহার তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজস্ট্রিার ইফতেখার মনির, সন্দ্বীপ সরকারি হাজী আবদুল বাতেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. ইলিয়াস, স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার টিম প্রধান সমন্বয়ক সাফায়েত রায়হান শিহাব, স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী পারভেজ হাবিব, মামুনুর রশীদ তারেক, জান্নাতুল ফেরদৌস আনিকা, মো. আসিফ, আমজাদুল ইসলাম, খানম হাবিব মিসবা, মো. জাবেদ, মো. ইমরান, আল আমিন, ইরফান, সাওয়াল প্রমুখ।
স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগার টিমের প্রধান সমন্বয়ক সাফায়েত রায়হান শিহাব বলেন, বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা যেন অবসর সময়টুকুতে যেন বই পড়ে কাটাতে পারে তার জন্য এই উদ্যোগ নেয় স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি সেলুন পাঠাগারও আমরা করেছি। আমাদের এই উদ্যোগে স্বপ্রণোদিত হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও বসুন্ধরা শুভসংঘ। আমাদের বসুন্ধরা শুভসংঘের পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিও।
সন্দ্বীপ সরকারি হাজী আবদুল বাতেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. ইলিয়াস বলেন, ব্যস্ত পথে ব্যস্ত জীবনে যখনই সময় পায় তখনই যেন বই পড়তে পারি তার জন্য বাস কাউন্টারে পাঠাগার করেছে স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন। বাস কাউন্টারে যাত্রীরা যখন আসে বাসের জন্য অপেক্ষা করার যে সময়টুকু ওই সময়টুকু যেন তারা বইয়ের সাথে থাকতে পারে। আমরা ব্যক্তি জীবনে ডিভাইসের উপর বেশি নির্ভর হয়ে পড়েছি। বই আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু, বইয়ের মাধ্যমে আমাদের মানসভূমনটা হয় তা অন্য কোন কিছু দিয়ে হয় না। তাই আমাদের এ উদ্যোগ। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জনাতে চাই শ্রদ্ধেয় ইমদাদুল হক মিলন ও উদ্যোগের পিছনে যারা রয়েছেন সেই বসুন্ধরা গ্রুপকেও আমরা ধন্যবাদ জানাই।
পিডি/টিসি