চট্টগ্রাম: নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি সবজি বাজারে ভালোমানের আলু বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৩ টাকা থেকে ১৪ টাকা। কচুরমুখী বিক্রি হচ্ছে ৪-৫ টাকা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে সরেজমিন এমন চিত্র দেখা গেছে।
কুমিল্লা বাণিজ্যালয়ের মো. আবু ইউসুফ বাংলানিউজকে জানান, পাকা মিষ্টি কুমড়া (ঠাকুরগাঁও) ৩০-৩২, চট্টগ্রামের দোহাজারী সাতকানিয়ার কাঁচা সবুজ মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, কাটিলাল আলু ১৩ টাকা, ডায়মন্ড আলু ১৪ টাকা, গুটি আলু ধোয়া ২৫ টাকা, অধোয়া ১৬ টাকা, মেহেরপুরের ছড়া কচু ১৮-২০ টাকা।
তিনি জানান, আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এবার।
নরসিংদী বাণিজ্যালয়ের মো. বাবুল জানান, ধোয়া ছাড়া কচুর কেজি ১৫ টাকা, কচুরমুখী (মোথা/মূল) ৫-৬ টাকা, পেঁপে ১০-১৩ টাকা ও পটল ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, জেলখানা, মেস ও ক্যান্টিনে কচুরমুখী বেশি চলে।
যশোরের পটল বেপারী জাহাঙ্গীর আলম জানান, দেড় মাস পর পটল আসবে। শিম, মুলা, বাঁধাকপি আসবে ১৫-২০ দিনের মধ্যে।
সীতাকুণ্ডের বড় বেগুন ৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে।
এআর ট্রেডার্সের মো. ফরিদ জানান, রাঙ্গুনিয়ার মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ২২-২৫ টাকা। নোয়াখালীর কাঁচা সবুজ মিষ্টিকুমড়া ১৮-২০ টাকা। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের শসা ১৫ টাকা (ছোট), বড় ২৮ টাকা। গত সপ্তাহের চেয়ে ৪-৫ টাকা কমেছে।
আল মদিনার মো. মাসুদ জানান, বরিশালের স্বরূপকাঠির আমড়া ৬০ কেজির বস্তা ১৬০০ টাকা, গতকাল ১৮০০ ছিল। ৫৫ কেজি ১৫০০ টাকা। এক ট্রাকে ২৪২ বস্তা, ২৫ হাজার টাকা। মোকামে এক বস্তায় ৫০ টাকা খরচ, গাড়িভাড়া ও লোড আনলোড ১০০ টাকা। প্রতিবস্তায় ১৫০ টাকা লস।
দাম কমলে আচার বিক্রেতারা কিনে নেন আমড়া। ভালো আমড়া কিছু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
রহমানিয়া বাণিজ্যালয়ের মো. হেলাল জানান, বরবটি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ২০-২৫ টাকা, ১০০ লেবু ২৫০ টাকা। বৃষ্টি যত পড়ে সবজিক্ষেত ততো নষ্ট হয়। তখন সবজির দাম বাড়ে।
মাইজভান্ডার বাণিজ্যালয়ের আলমগীর জানান, চালকুমড়া ১৫ টাকা, ঝিঙে ৩০-৩৫, কাঁচা সবুজ মিষ্টি কুমড়া ১৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৪৫ টাকা, ধুন্দল ২৮-৩০, বরবটি ৪০ টাকা, কচুর মুখী ৪-৫ টাকা, পুঁই শাকের বিচি ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
নিউ সুমন ট্রেডার্সে কাঁকরোল ৪০-৫৫ টাকা, তিতকরলা ৩০-৩৫ টাকা ও লাউ ১৫ টাকা।
মামুন ট্রেডার্সে কথা হয় মুন্সীগঞ্জের আলুর ব্যবসায়ী মো. তুহিন হাওলাদারের সঙ্গে। তিনি জানান, নিজের জমিতে উৎপাদিত ৩ হাজার বস্তা আলু আছে তার। হিমাগারে প্রতিবস্তা ২৮০ টাকা খরচ। সার, বীজ, শ্রমিকের মজুরি, গাড়িভাড়া মিলে ২২-২৩ টাকা কেজিতে পড়তা। বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। এক গাড়ি ১৪ টন আলু আসছে। এক গাড়িতে দেড় লাখ টাকা লোকসান।
আলু ব্যবসায়ী মো. রাসেল ১২ হাজার বস্তা আলু উৎপাদন করেছেন। এক কোটি খরচ হয়েছে। সেই হিসাবে কেজিতে খরচ ২৮ টাকা। হিমাগারে বস্তাপ্রতি খরচ ২৮০ টাকা। ২৭০ বস্তা আলুর গাড়িভাড়া ১৯ হাজার টাকা, আড়তদারি ১৫ হাজার, লেবার বস্তাপ্রতি ৬ টাকা। কিন্তু ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা দরে। তার এক গাড়িতে লোকসান ২ লাখ ১০ হাজার। তারপরও দুশ্চিন্তা আলু বিক্রি করা নিয়ে। তিনি বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে নেওয়া ধার শোধ করতে না পারলে এবার আর আলু চাষ করতে পারবো না।
এআর/টিসি