ঢাকা, শুক্রবার, ৩ আশ্বিন ১৪৩২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ: মেয়র শাহাদাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৫২, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ: মেয়র শাহাদাত চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম: নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জে রূপ নিয়েছে উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হলেও চসিক সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করতে পারছে। বাকি প্রায় ৮০০ টন বর্জ্য নানা উপায়ে খাল, নালা হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে, যা মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ করছে।

এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় চসিক নতুন একটি ল্যান্ডফিল্ড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে চসিকের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

সভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ল্যান্ডফিল্ড স্থাপন, নগর উন্নয়ন ও জনদুর্ভোগ কমানোর নানা পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে বর্তমান দুটি ডাম্পিং স্টেশন হালিশহর ও আরেফিন নগর ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। যেকোনো সময় সেগুলোতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় চসিক ইতিমধ্যে নতুন একটি ল্যান্ডফিল্ড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানা জঙ্গল দক্ষিণ পাহাড়তলী মৌজায় প্রায় ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৯ দশমিক ৫০ একর জমি ইতিমধ্যে কেনা হলেও মালিকদের অনীহার কারণে বাকি জমি কেনা সম্ভব হয়নি। ফলে বিকল্প হিসেবে একই মৌজার পার্শ্ববর্তী সমতল ও টিলা শ্রেণির প্রায় ৪০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চিন্তিত। নতুন ল্যান্ডফিল্ড না হলে নগরের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়বে।  

নতুন ল্যান্ডফিল্ড হলে ভবিষ্যতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি হবে। ইতোমধ্যে কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন কোম্পানি চসিকের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছে। তবে শর্ত হিসেবে তারা ন্যূনতম ৪০ একর জমি চেয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম মুরশেদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইয়াত তাহরীম সৌরভ, বন অধিদপ্তরর সহকারী সংরক্ষক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিআইডব্লিউটিএ মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ‍উপ পরিচালক মনছুর আলী চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ পরিচালক মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম মামুনুল বাশরী, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।