ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৪৩৭ কোটি টাকায় ২০ তলা ‘কর ভবন’ হচ্ছে আগ্রাবাদে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:১৯, অক্টোবর ৯, ২০২৫
৪৩৭ কোটি টাকায় ২০ তলা ‘কর ভবন’ হচ্ছে আগ্রাবাদে ...

চট্টগ্রাম: এক যুগের বেশি সময় ধরে আগ্রাবাদে কর ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা শোনা গেলেও এবার আলোর মুখ দেখছে প্রকল্পটি। জাম্বুরি পার্কের পূর্বপাশে ৭৭ কাঠা জমিতে ৪৩৭ কোটি টাকায় তিনটি বেইজমেন্টসহ ২৩ তলা ভবনটির দরপত্র আহ্বান হবে শিগগির।

 

এ ভবনে ১০ জন কর কমিশনারের অধীনে ১ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজস্ব আহরণের মহাযজ্ঞ পরিচালনা করবেন। প্রায় ৫ লাখ বর্গফুটের ভবনটি হবে সরকারি পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি আয়তনের দ্বিতীয় স্থাপনা।

বর্তমানে প্রথম স্থানে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন।  

কর ভবন না থাকায় বর্তমানে সিডিএ আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে থাকা তিন-চারটি ভবনের ভাড়া বাবদ বছরে অন্তত ২ কোটি টাকার বেশি খরচ হচ্ছে। এতে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাসহ সেবা দাতা ও গ্রহীতাদের যেমন এক ভবন থেকে আরেক ভবনে ছোটাছুটি করতে হয় তেমনি বর্ষাকালে কিংবা জোয়ারের সময় হাঁটুপানি, কোমরপানি পাড়ি দিতে হয়। তাই বছরের পর বছর পরিকল্পনায় ছিল একটি বহুতল কর ভবন। অবশেষে প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখছে।  

সূত্র জানায়, কর ভবনে চট্টগ্রামের চারটি করাঞ্চলের রেঞ্জ অফিস, সার্কেল অফিস, কর আপিল অঞ্চল, আপিল ট্রাইব্যুনাল, কর জরিপ অঞ্চলের ১টি রেঞ্জ ও ২টি সার্কেল থাকবে। কর আইনজীবীদের কার্যালয়, ব্যাংকের শাখা, ডাকঘর, ডে কেয়ার সেন্টার, মিডিয়া সেন্টার, মাল্টিপারপাস হল, নারী পুরুষের আলাদা এবাদতখানা, স্টাফ ক্যান্টিন, অফিসার ক্যান্টিন, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সবই থাকবে।  

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ এবং সদস্য (কর নীতি) ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী গত ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম কর ভবনের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। দ্রুততম সময়ে দরপত্র আহবানসহ ভবনটির নির্মাণকাজ শুরুর ব্যাপারে চট্টগ্রাম কর ভবন নির্মান প্রকল্পের পরিচালক ও কর কমিশনার (অঞ্চল-৩) মো. মঞ্জুর আলমকে দিকনির্দেশনা দেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ, কর অঞ্চল-৫ এর কমিশনার মো. শাহীন আক্তার হোসেন, কর আপিল অঞ্চলের কমিশনার শামিনা ইসলাম, কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার আয়েশা সিদ্দিকা শেলী, কর অঞ্চল-২ এর কমিশনার সাধন কুমার রায় এবং কর অঞ্চল-৬ এর কমিশনার সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।   

জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক ও কর কমিশনার (অঞ্চল-৩) মো. মঞ্জুর আলম বাংলানিউজকে বলেন, একনেকে পাস হওয়ার পর তিনটি বেইজমেন্টসহ ২৩ তলা কর ভবনের নকশা হয়ে গেছে। আশাকরি শিগগির দরপত্র আহ্বানও হয়ে যাবে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের (বিভাগ-৪) অধীনে ভবন নির্মাণ কাজ হবে। দরপত্র মূল্যায়ন, কার্যাদেশ ইত্যাদি প্রক্রিয়া শেষে এ বছরের মধ্যে নির্মাণকাজের চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। আশাকরি, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হবে।  

তিনি বলেন, এটা কর পরিবারের স্বপ্নের ভবন। এক ছাতার নিচে সব সেবা নিয়ে আসা হবে। প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব কাজের গুণগতমান ঠিক রাখা। ইনশাআল্লাহ সেই চেষ্টা করবো আমরা।  

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।