জবি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম শিশির ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয় হারুন গ্রুপের কর্মীরা।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আনিসুল তালুকদার শিশিরকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও দুই সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর রহমান খান ও জহির রায়হান আগুনকে শোকজ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্কা-২ বাসে বসাকে কেন্দ্র করে শিশির গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে হারুন গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার দুপুরে শিশিরের উপস্থিতিতেই তরিকুল, রিশাদ, রুবেল, নিউটন, রিমন, সাব্বির ও তোষণসহ তার ১০-১২জন কর্মী হারুন গ্রুপের কর্মী রাসেল ও শাহরিয়ারকে মারধর করে।
মারধরের খবর শুনে ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর রহমান খান, জহির রায়হান আগুন ও উপ-প্রচার সম্পাদক আনিসুল তালুকদার শিশিরের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী সাধারণ সম্পাদকের কর্মীদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যায়।
পরে ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক মহিউদ্দীনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এবিষয়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম শিশির বলেন, তরিকুল, রিশাদ ও রুবেল আমার কর্মী নয়। ওরা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত।
এদিকে ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেন, ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কৃত কর্মীরা ক্যাম্পাসে বিশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলে আমার কর্মীরা তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও দুই সাংগঠনিক সম্পাদককে শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু তরিকুল, রুবেল ও রিসাদরা ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কৃত। ফলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারছি না। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অশোক কুমার সাহা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘন্টা, ২৮ এপ্রিল, ২০১৪