ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত ফি প্রত্যাহার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৪
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত ফি প্রত্যাহার দাবি

রাজশাহী: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) রাজশাহী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। রাজশাহী মহানগরীর শাহ্ মখদুম কলেজে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা।



সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অনার্স কোর্সে প্রতি বিষয়ে প্রতি বছর ৪ হাজার টাকার স্থলে বর্তমানে তিন বছরে ২৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।

ডিগ্রি পাস কোর্সে ৪ হাজার টাকার স্থলে ৩ বছরে ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করছে। এছাড়াও পাস কোর্সে অধিভুক্তি ফি ৫ হাজার টাকার স্থলে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অনার্সের প্রতি বিষয়ে আবেদন ফি পূর্বে ছিল ৫ হাজার টাকা, যা বর্তমানে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে।

কলেজের উন্নয়নের নামে প্রতিটি কলেজ থেকে প্রতি বছর ২ হাজার টাকার স্থলে ২০১৪ সাল থেকে অযৌক্তিকভাবে তিন বছরে ৭ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

ওই অর্থ কলেজ ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে ব্যয় করার কথা থাকলেও তা করা হয় না। শিক্ষকদের দাবি, অবিলম্বে ওই বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করে পূর্বের ন্যায় ফি নির্ধারণ করতে হবে।

শিক্ষকদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সেশনজট কমিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহের ফলাফল ৭৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে, সৃজনশীল পদ্ধতি কার্যকর করার জন্য সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের আরও একটি বড় দাবি, হয়রানি ও লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাতে বিভাগীয় শহরগুলোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস চালু করতে হবে।

সেই সঙ্গে পরীক্ষার ফরম পূরণ, নিবন্ধন, ডিডি জমা, পরীক্ষার উপকরণসহ সকল কাগজ আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে গ্রহণ ও বিতরণ করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেটসহ প্রত্যেক কমিটিতে শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হারে বেসরকারি শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এতে উপস্থিত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ঈদের আগেই জুলাই মাসের বেতনসহ পূর্ণাঙ্গ বোনাস এবং ৭ তারিখের পূর্বেই প্রতি মাসের বেতন প্রদানের দাবি জানান। তাদের দাবি আদায়ে আগামি ১৫ জুলাই রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ঈদের পরে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে জানান শিক্ষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাকশিস রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজ কুমার সরকার। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বাকশিসের সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান, মহানগর বাকশিসের সভাপতি রইসুদ্দিন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘন্টা, জুলাই ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।