ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষামন্ত্রীর তড়িৎ অ্যাকশন

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৪
শিক্ষামন্ত্রীর তড়িৎ অ্যাকশন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ / ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: উৎকোচ আদায়ের জন্য ত্রুটি ছাড়াই একজন শিক্ষকের ফাইল আটকে রাখার অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক সহকারী পরিচালককে তাৎক্ষণিকভাবে বদলি করা হয়েছে।
 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার দুপুরে হঠাৎ করে শিক্ষা ভবন পরিদর্শন করে মাউশির সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদারকে মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বদলির নির্দেশ দেন।



বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের এই কর্মকর্তা সহকারী অধ্যাপক (ইতিহাস, আইডি নং-১২৯০৯) পদমর্যাদায় মাউশিতে কর্মরত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছু গাজীপুরের ওই শিক্ষকের বিদেশে প্রশিক্ষণে যাবার ব্যাপারে আদেশ হলেও ওই কর্মকর্তা ফাইলটি আটকে রাখেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষককদের হয়রানি করছেন- এমন অভিযোগ শুনে তিনি শিক্ষা ভবনে আব্দুল কুদ্দুসের কক্ষে গিয়ে তার কাছে এর কারণ জানতে চান।

আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগের কোন সদুত্তর দিতে না পারায় অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বদলির নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

মাউশির মহাপরিচালকের স্বাক্ষরের পরও আব্দুল কুদ্দুস আদেশ জারি না করে কয়েক দিন ধরে গাজীপুরের ওই শিক্ষককে ঘুরাচ্ছিলেন বলে জানান মন্ত্রী।
 
নামের বানানের অজুহাতে ওই শিক্ষককে গাজীপুর থেকে আসতে বলা হয়, একজন শিক্ষকের পক্ষে তো প্রতিদিন আসা সম্ভব না, বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
 
পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-৬ (কলেজ-১) থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
 
এতে বলা হয়, নিজ বেতনক্রমে সোমবারের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুস বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় ওই দিন অপরাহ্ন হতে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হবেন বলে গণ্য হবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, উৎকোচের জন্যই ওই শিক্ষকের ফাইলটি আটকে রাখা হয় বলে মন্ত্রী জানতে পেরেছেন।

এই শাস্তি যথেষ্ট কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাইলেই কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারি না। এই কর্মকর্তা আমাদের নজরে থাকবেন।

মাউশির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ নতুন নয়। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা ভবনে প্রবেশের সময় প্রধান ফটকে শিক্ষক-কর্মচারীরা মন্ত্রীকে ঘিরে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেন।

শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করলে এমপিও পেতে পাঁচ-সাত মাস লেগে যায়। অর্থ ছাড়া কাজ করে নেওয়া কঠিন বলে স্বীকার করেন কর্মকর্তারাও।

একজনের শাস্তিতে অন্যরাও সতর্ক হবেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষা ভবনে শিক্ষকরা যাতে নাজেহাল না হয় সে ব্যাপারে তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এমন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।