ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আন্দোলন করায় ইস্টওয়েস্টের ৩ ছাত্র বহিষ্কার!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪
আন্দোলন করায় ইস্টওয়েস্টের ৩ ছাত্র বহিষ্কার!

ঢাকা: অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের দাবিতে আন্দোলন করায় ৩ ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি’। লিফট, এয়ার কন্ডিশন এবং স্টাডি রুমের সংষ্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্ররা।



বহিষ্কার হতে যাওয়া ৩ শিক্ষার্থী হচ্ছেন, শেষ সেমিস্টারের তড়িৎ কৌশল বিভাগেএ ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জাকারিয়া, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শেষ সেমিস্টারের ছাত্র কাজি মাহবুবুল হাসান তমাল এবং ব্যবসায় প্রশাসন এর ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র তানভীর আহমেদ সিদ্দিকি। গত মে মাসের আন্দোলনের জন্য এ ৩ শিক্ষার্থীকে দায়ী করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত জুন মাসে বেশ গরম পড়ছিল। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র(এসি) অকার্যকর হয়ে পড়ে। বিভিন্ন বিভাগের স্টাডি রুমেও এসি অকার্যকর ছিল। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টাডি রুম নেই বলে অভিযোগ জানিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট নষ্ট হয়ে যায়।

বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হচ্ছিল না। একসময়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে প্রতিদিনই তিন থেকে চারশো শিক্ষার্থী অংশ নিতেন।

তবে শেষ সেমিস্টারের এবং সিনিয়র শিক্ষার্থী হওয়াতে এই ৩জনেই বেশিরভাগ সময় প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছিলেন।

আন্দোলনের মুখে একসময় এসি এবং লিফট ঠিক করলে বিষয়টি ঠাণ্ডা হয়ে পড়ে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভেতরে ভেতরে চাপা ক্ষোভ পুষে রাখে। তারই ফলশ্রুতিতে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, এখানে একজন শিক্ষার্থীকে বিবিএ সম্পন্ন করতে হলে প্রায় ১২ লাখ টাকা গুণতে হয়। আমাদের বেতন এবং ভর্তিতে সবচেয়ে বড় অংকের টাকা নেওয়া হয় উন্নয়ন খাতে। অথচ এখানে নেই স্টাডি রুম। কিছুদিন পর পর লিফট এবং এসি নষ্ট হয়ে পড়ে।
 
তিনি বলেন, যেহেতু অনেক অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়, তাই আন্দোলনে কেউ আগ্রহী নয়। কারণ এখানে পান থেকে চুন খসলেই থাকে বহিস্কারের ভয়।
 
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মে মাসের গরমে আমরা অতিষ্ট হয়ে শিক্ষকদের এবং প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও তারা আমলে নেননি। বরং বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছিলেন। এখন দেখছি সত্যিই আমাদের ৩ সহপাঠীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি বিভাগে আলাদা আলাদা স্টাডি রুম থাকার নিয়ম। তবে এখানে অট্টালিকা বানানো হলেও স্টাডিরুম নেই।
 
শিক্ষার্থীদের এসব অভিযোগ সর্ম্পকে জানতে বেশ কয়েকবার উপাচার্য অধ্যাপক আহমেদ শফির অফিসে যোগাযোগ করা হলেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়াও তথ্য কর্মকর্তার ফোন নাম্বারেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।