ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মানবতার কল্যাণে সংহতি প্রকাশে বিশ্বাসী ছিলেন বঙ্গবন্ধু

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৪
মানবতার কল্যাণে সংহতি প্রকাশে বিশ্বাসী ছিলেন বঙ্গবন্ধু ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু তার নেতৃত্ব গুণে মানুষকে আকৃষ্ট করেই জাতির পিতা হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন, সংহতি অনেক শক্তিশালী।

এজন্য বঙ্গবন্ধু মানবতার কল্যাণে ও মানুষের অধিকার আদায়ের স্বার্থে সংহতি প্রকাশে বিশ্বাসী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র বিপ্লব করেছিলেন। এখন তার কন্যা সমাজ বিপ্লব শুরু
করেছেন। সমাজের বৈষম্য দূর, মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে এ সমাজ বিপ্লব সফল করতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথির ভাষণে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

বিশেষ অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাম এদেশ থেকে কখনোই মুছে ফেলা যাবে না। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষ, সমাজ, সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছেন।

সভায় আলোচকের বক্তব্যে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. খুরশীদা বেগম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মোহ গবেষণা এখনো হয়নি। তাকে নিয়ে শাস্ত্রীয় গবেষণার সংখ্যাও কম। বঙ্গবন্ধু বাংলা অঞ্চলকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত করেছিলেন। এ অঞ্চলের পুরো জনগোষ্ঠিকে তিনি একত্রিত করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু তার নেতৃত্ব দীর্ঘজীবী হয়েছে।

সভাপতির ভাষণে উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, এদেশের বিশাল জনগোষ্ঠিকে বর্তমান সরকার বিশাল সম্পদে পরিণত করার প্রয়াস নিয়েছে। এ বিশাল সম্পদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় শোক দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আমির হোসেন, ডা. এটিএম আবদুল হান্নান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল, কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।