ঢাকা, সোমবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১ মহররম ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

আবারো চমক দেখাতে চাইলেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৭, জুলাই ৭, ২০২৫
আবারো চমক দেখাতে চাইলেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন বক্তব্য দিচ্ছেন ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন।

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন বলেছেন, তার গড়া রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিবন্ধন দিলে চমক সৃষ্টি করবেন।

সোমবার (৭ জুলাই) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

রফিকুল আমীন বলেন, আমরা সিইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছি। আনারস প্রতীক চেয়েছি। আমরা চাই উৎসবমুখর নির্বাচন। নতুন প্রজন্মের মাধ্যমে এই দেশে একটি নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে চাই। সিইসির সঙ্গে কথা বলে আমার যে বিশ্বাস, আস্থা তৈরি হয়েছে আগামী দিনে যে নির্বাচন হবে, ৫৩ বছরের মধ্যে স্মরণ রাখার মতো একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। যেখানে আমি আশাবাদী সর্বাধিক ভোটার নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। এই বিষয়ে আশ্বাস পেয়ে আনন্দিত। আমাদের যদি নিবন্ধন দেওয়া হয় একটা চমক সৃষ্টি করতে চাই। একটা নতুন ধারা আনতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। ইসির চাহিদা মোতাবেক শর্ত আমরা পরিপূর্ণ করেছি। ১০৩টি উপজেলা, ২৩টির মতো জেলা কমিটি জমা দিয়েছি। আরও ২০০ কমিটি আমরা রেডি রেখেছি।

গত ১৭ এপ্রিল রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে আমজনগণ পার্টি। তিনি এই দলের আহ্বায়ক। দলটি আত্মপ্রকাশের দিনই ইসিতে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর খবর আসে। আর এই খবর প্রচার হওয়ার পর একইদিন ডেসটিনির ক্ষতিগ্রস্ত অংশীদার, গ্রাহকরা ইসির সামনে এসে দলটিকে নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য মানববন্ধন করে।

ডেসটিনি বাংলাদেশের একটি আলোচিত প্রতিষ্ঠান, যার বিরুদ্ধে গ্রাহক টাকা মেরে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন অর্থপাচার ও ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা দুটি মামলায় দীর্ঘ সময় কারাভোগ করেন। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি কারামুক্তি পান।

ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড পণ্যগুলো এমএলএম পদ্ধতিতে সরাসরি বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতো। এই পদ্ধতির ব্যবসার মাধ্যমে চার হাজার কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচার করে বলে সে সময় গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন এসেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা মামলায় রফিকুল আমীনকে কারাভোগ করতে হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আদালতের নির্দেশে ডেসটিনির সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাব স্থবির করে রাখা হয়। ফলে সে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে রফিকুল আমিনের সঙ্গে দলটির অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।