কণ্ঠের জাদুতে অনেকেরই হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ভিন্ন রকম গায়কী আর সুরের মায়াজালে এদেশের সংগীতাঙ্গনে বিচরণ করছেন চার দশকের বেশি সময় ধরে।
বলছি জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী বেবী নাজনীনের কথা। শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) এই গায়িকার জন্মদিন।
১৯৬৫ সালের ২৩ আগস্ট নীলফামারী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এ গুণী কণ্ঠশিল্পী। ছোট বেলা থেকেই গানের চর্চা করেছেন তিনি। আর পেশাদার গায়কী জীবন ১৯৮০ সাল থেকে। সে বছর এহতেশাম পরিচালিত ‘লাগাম’ সিনেমায় গান গাওয়ার মাধ্যমে প্লেব্যাকে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, অডিও এবং কনসার্ট; সব মাধ্যমেই দাপটের সঙ্গে গান করে এসেছেন বেবী নাজনীন। তার প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। মকসুদ জামিল মিন্টুর সঙ্গীত পরিচালনায় সে অ্যালবামের নাম ছিল ‘পত্রমিতা’। এই অ্যালবামের মাধ্যমেই বেবী নাজনীনের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায়।
এরপর একে একে ‘নিঃশব্দ সুর’, ‘কাল সারা রাত’, ‘প্রেম করিলেও দায়’, ‘দুচোখে ঘুম আসে না’ ইত্যাদি অ্যালবামগুলো প্রকাশ করেন বেবী নাজনীন। যার সবগুলোই ছিল শ্রোতাপ্রিয়।
বেবী নাজনীনের কণ্ঠে বহু গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘ঐ রংধনু থেকে’, ‘কাল সারা রাত ছিলো স্বপনেরও রাত’, ‘এলো মেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল’, ‘দু চোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পরে’, ‘আমার ঘুম ভাঙ্গাইয়া গেলোরে মরার কোকিলে’, ‘মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবিতে আসে’, ‘কই গেলা নিঠুর বন্ধুরে সারা বাংলা খুঁজি তোমারে’, ‘পূবালী বাতাসে’, ‘ও বন্ধু তুমি কই কই রে’ ইত্যাদি।
অসামান্য শ্রোতাপ্রিয়তার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ২০০৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার।
উল্লেখ্য, গানের বাইরে রয়েছে বেবী নাজনীনের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তিনি।
এনএটি