শাস্ত্রীয় সংগীতে গুরুদীক্ষা নিচ্ছেন বছর দশেক। তবু নেওয়ার, পাওয়ার, শেখার, জানার তো শেষ নেই।
স্কুলে যাওয়ার আগেই মায়ের কাছে সংগীতে দীক্ষা। তারপর গুরু সঞ্জীব দে। সেই শৈশব থেকেই গানের সঙ্গে পথচলা। পড়াশোনা শেষে একসময় চাকরি আর গান করা ঠিকভাবে হয়ে উঠছিলো না। তাই পেশা বেছে নিলেন শিক্ষকতা। গানের রাজ্যে বিচরণ আরও সহজ, সাবলীল, বিস্তৃত হয় সেখান থেকেই। গতবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে আসে প্রথম মিক্স অ্যালবাম। সেখানে দু’টি গানের মধ্যে ‘বৃষ্টি তুমি থেমো না’ গানটি বেশ শ্রোতাপ্রিয় হয়।
বাংলাদেশ বেতারে নজরুল সংগীত এবং বাংলাদেশে টেলিভিশনে আধুনিক গানের তালিকাভুক্ত মিতু ভবিষ্যতে মৌলিক গানের পাশাপাশি সেমিক্ল্যাসিক, ক্ল্যাসিক গানের ফিউশন করতে চান। তবে এখনই নয়। পড়াশোনা, গবেষণার পর। এক্ষেত্রে তার প্রথম পছন্দ বিখ্যাত শিল্পী বেগম আখতার। আরও আছেন শিপ্রা বসু কিংবা নিলুফার ইয়াসমিন।
শস্ত্রীয় সংগীতে ঝোঁক বেশি মিতুর। আধুনিক গান করলেও তাই শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রভাব থাকে সুর, সংগীতে। নতুন অ্যালবামের আটটি গানের সাতটিই প্রেমের। একটি দেশাত্ববোধক। মিতু বলেন, আমার প্রথম একক অ্যালবামের গানগুলো লিখেছেন স্যামুয়েল হক, ফয়সাল আহমেদ ও রেজাউল করিম। সুর ফয়সাল আহমেদ। সংগীতায়োজন করেছেন সচি সাম্স। কথা ও সুরে শ্রোতারা ভিন্নতা পাবেন বলেই আশা। আর গানগুলো বাণীসমৃদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যের থেকে নিজেকে আলাদা হিসেবে পরিচিত করতেই পারাই একজন শিল্পীর সার্থকতা।
প্রাচ্য, পাশ্চাত্যের অ্যারিবিয়, জ্যাজ কিংবা সালসার যে ফিউশন এখন হিন্দি, বাংলা গানে চলছে তাকে পজিটিভভাবেই দেখতে চান মিতু। তবে যে যাই করুক, প্রযুক্তি যতই গানের পরিবর্তন আনুক কণ্ঠই একজন শিল্পীর বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে বলেই মত তার।
সেই ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বেগম আখতারের একটি গান গেয়েই আলোচনায় আসেন মিতু। তারপর থেকে অহংহীন এগিয়ে চলা। বলেন, আমি শিল্পী এখনো হইনি, তবে শিল্পী হতে চাই। এখন গান করি।
আরও কি করতে চান প্রশ্নে হেসে বলেন, ভালো কিছু কাজ করতে চাই। যেটা দিয়ে মানুষ একজন মিতু কর্মকারকে মনে রাখবে, চিনবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৬
এএ