পাইরেসির কারণে হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্প এখন হুমকির মুখে। অথচ এই সমস্যা নাকি তৈরি করেছেন বলিউডের নির্মাতারাই! অভিযোগ উঠেছে, বলিউডের কিছু প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সেন্সর বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের (সিবিএফসি) অনুমোদন পাওয়ার আগেই জাল সেন্সর সনদ জুড়ে দিয়ে নিজেদের ছবি দুবাইয়ে পাঠিয়েছেন!
বলিউড হাঙ্গামাকে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পে এ ধরনের কাজ অহরহ ঘটে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ভারতের বাইরে বৈধ সেন্সর সনদ ছাড়া অবৈধভাবে ছবি পাঠানো বন্ধ করা উচিত প্রযোজকদের। দুবাইয়ে চলচ্চিত্রের জন্য ডিজিটাল উপাদানগুলো প্রযোজকদের সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ে কিংবা তাদের কর্মচারিদের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় বিশৃঙ্খলভাবে। এ কারণে চাইলে যে কেউ এক বা একাধিক কপি করে পাকিস্তানে পাঠানোর সুযোগ পায়। এরপর টরেন্টের মতো ইন্টারনেট আউটলেটে মুক্তির আগেই ফাঁস করে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি বলিউডের ‘উড়তা পাঞ্জাব’ (শহিদ কাপুর, কারিনা কাপুর খান, আলিয়া ভাট) ও ‘গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি’ (বিবেক ওবেরয়, রিতেশ দেশমুখ, আফতাব, উর্বশী রাউতেলা) মুক্তির আগেই ফাঁস হয়ে যায় অনলাইনে। তবে এ দুটি ছবির মধ্যেই সমস্যাটা সীমাবদ্ধ নয়, এটি ব্যাপকহারে হচ্ছে বলে মন্তব্য সূত্রটির।
ভারতে মুক্তি দেওয়া হলিউডের ছবিগুলো পাইরেসি করা প্রায় অসম্ভব। কারণ এসব ছবির ডিজিটাল ফর্ম্যাটে কেডিএম (উপাদান খোলার গোপন পাসওয়ার্ড) থাকে কেবল প্রেক্ষাগৃহের প্রজেক্টর পরিচালকদের কাছে। কিন্তু বলিউডের ছবিগুলোর কেডিএম দেওয়া হয় অনেককে। এ কারণেও মুক্তির আগেই যে কেউ চাইলে ছবি কপি করে ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৬
জেএইচ