প্রথম প্রেম, অজস্র রাত, ফাগুন, বহুদূরে ও বৃষ্টি শিরোনামে অ্যালবামে গানগুলোর সংগীতায়োজন করেছেন জনপ্রিয় মিউজিক ডিরেক্টর টিংকু আজিজ। অ্যালবামের ‘অজস্র রাত’ শিরোনামে গানটির ভিডিও এবং ‘প্রথম প্রেম’ গানটির অডিও প্রকাশিত হয়েছে।
সংগীতার ব্যানারে গান দুটি পাওয়া যাচ্ছে ইউটিউবে।
ভিডিও পরিচালনা করেছেন কনক। হৈমন্তীর সাথে মডেলিং করেছেন আদর।
অ্যালবাম ও ভিডিও প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে হৈমন্তী রক্ষিত বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি সত্যিই খুব আনন্দিত এবং গর্বিত প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে গান করতে পেরে। এ অ্যালবামের পাঁচটি গানই মেলোডি এবং ভিন্ন ঘরানার। ভালো লাগা থেকেই সংগীতচর্চা করছি। শ্রোতাদের কাছে অমর হয়ে থাকতেই কিছু কাজ করার চেষ্টা করছি। আশা কেরি অ্যালবামের গানগুলো শ্রোতাদের মনে স্থান করে নেবে।
শ্রোতাদের উদ্দেশে হৈমন্তী বলেন, গানের মধ্যে জীবনের নানা কথা রয়েছে। আশাকরি গানগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। আনন্দ দেবে।
চার বছর বয়সে বাবা মানস কুমার রক্ষিত ও মা শর্মিষ্ঠা রক্ষিতের অনুপ্রেরণা এবং ওস্তাদ বাণী কুমার চৌধুরীর হাতে গানে হাতেকড়ি হৈমন্তীর। ১৯৯৩ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় দেশের গানে প্রথম এবং একই বছর নতুন কুঁড়িতে নজরুলসংগীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে ‘ডাক পিয়ন’ শিরোনামে প্রথম অ্যালবাম তার সংগীতচর্চাকে আরও বেগবান করে তোলে। এরপর থেকে সংগীতচর্চার পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্তে গানের ফেরিওয়ালা হিসেবে সব ঘরানার গান গেয়ে শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। প্লেব্যাক করেছেন ২০টি চলচ্চিত্রে।
কিংবদন্তি শিল্পী লতা মুঙ্গেশকর, রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিনের গানের অন্ধভক্ত হৈমন্তী সংগীতচর্চার পাশাপাশি ইতিমধ্যে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। যন্ত্রানুশিল্পী স্বামী অসীম দাশের অনুপ্রেরণায় ‘মনে পড়ে তোমাকে’ (১৯৯৭ সালে), ‘প্রেমের ছোঁয়া’ (১৯৯৯ সালে), ‘অন্তরে আছো তুমি’ (২০০০ সালে) স্মৃতির ক্যানভাস (২০০৫ সালে), ‘ফিরে দেখা (২০০৮ সালে), শিল্পী আসিফ আকবরের সাথে দ্বৈত অ্যালবাম ‘স্বপ্ন দেখি’ (২০১০ সালে) সহ আরও বেশ কয়েকটি অ্যালবাম ও গানের মিউজিক ভিডিও শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ২৫ বছর ধরে শাস্ত্রীয় ও নজরুলসংগীতের তালিম নিয়ে সংগীতচর্চা করছেন হৈমন্তী।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এসবি/এআর/টিসি