নিউ জার্সি, মেটলাইফ স্টেডিয়াম — মঞ্চে ডোনাল্ড ট্রাম্প, হাতে ট্রফি তুলছেন রিস জেমস। পাশে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পিএসজিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে চেলসি। আর এই জয়ে তারা ফিফার কাছ থেকে পেয়েছে প্রায় ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাইজমানি—যা ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এককালীন অর্থনৈতিক পুরস্কারগুলোর একটি।
ম্যাচের হিরো ছিলেন কোল পালমার। প্রথমার্ধেই করেন দুটি গোল, এরপর দুর্দান্ত পাসে করান আরেকটি গোল। তার পায়ে পরাস্ত হন পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।
বড় মঞ্চে আবারও নিজের সেরাটা তুলে ধরে পালমার জিতে নেন ‘গোল্ডেন বল’। ম্যাচ শেষে এই পুরস্কারটি তার হাতে তুলে দেন খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইনফান্তিনো।
কোচ এনজো মারেস্কা-র কৌশল বদলের ফলেই রূপান্তর ঘটে চেলসির খেলায়। পাস-পাস খেলার বদলে এই ম্যাচে চেলসি ব্যবহার করে সরাসরি লং বল ও হাই প্রেস—যাতে পুরোপুরি ভেঙে পড়ে পিএসজির রক্ষণভাগ।
পিএসজির জন্য এটি ছিল মরশুমের সবচেয়ে বাজে প্রথমার্ধ। ফাইনালের আগে তারা ১৬-১ গোল ব্যবধানে প্রতিপক্ষদের হারিয়েছিল, কিন্তু এখানে প্রথম ৪৩ মিনিটেই হজম করে তিন গোল।
৮৪তম মিনিটে চেলসির মার্ক কুকুরেয়ার চুল ধরে টানেন পিএসজির মিডফিল্ডার হুয়াও নেভেস। ভিএআর দেখে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় তাকে।
ম্যাচ শেষে উত্তেজনা আরও বাড়ে, যখন কোচ লুইস এনরিকে ও দোন্নারুম্মা মিলে ধাক্কা দেন চেলসির ফরোয়ার্ড হুয়াও পেদ্রোকে। ম্যাচ শেষে দুজনকেই সরিয়ে নেন স্টাফরা।
আর অন্যদিকে ট্রাম্প যখন ট্রফি প্রদানের জন্য মাঠে নামেন, তখন তার প্রতি দর্শকের একাংশ থেকে ভেসে আসে তীব্র দুয়ো ধ্বনি। যদিও পরে তিনি করতালি দিয়েই ট্রফি তুলে দেন চেলসির হাতে।
চেলসির এই জয়ে যেমন এসেছে সম্মান ও ইতিহাস, তেমনি এসেছে বড় অঙ্কের অর্থ। ফিফার আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা পেয়েছে ১১৪.৬ মিলিয়ন ডলার, যা প্রাক-মৌসুম ট্যুর বাতিলের ক্ষতিও পুষিয়ে দেবে। পিএসজি পেয়েছে ১০৬.৯ মিলিয়ন, আর তৃতীয় হওয়া রিয়াল মাদ্রিদ ৮২.৫ মিলিয়ন ডলার।
এমএইচএম