নতুন মৌসুম শুরুর আগেই ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে শুরু হয়েছে নতুন অধ্যায়। কোচ হিসেবে তিন বছরের চুক্তিতে ক্লাবটির দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স (QPR) বস মার্তি সিফুয়েন্তেস।
সিফুয়েন্তেস লেস্টারে আসছেন রুড ফন নিস্টলরয়ের জায়গায়, যিনি কিছুদিন আগেই দায়িত্ব ছেড়েছেন। লেস্টার মাত্র দুই মৌসুমের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে। ২০২৪ সালে এঞ্জো মারেস্কার অধীনে দ্বিতীয় বিভাগ জিতে প্রিমিয়ার লিগে উঠেছিল তারা, কিন্তু এক মৌসুমের ব্যবধানে আবারও নেমে গেছে নিচে। মারেস্কা এরপর পাড়ি জমান চেলসিতে। এবার একই চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামবেন সিফুয়েন্তেস—দলকে শীর্ষ লিগে তুলে আনা।
লেস্টার জানিয়েছে, তারা বিশ্বাস করে সিফুয়েন্তেস ক্লাবে “আধুনিক ও প্রগতিশীল ফুটবল দর্শন” নিয়ে আসবেন। ক্লাব চেয়ারম্যান আয়াওয়াত শ্রীভাদ্ধানাপ্রভা বলেছেন, “আমরা মনে করি, তাকে ক্লাবে নিয়ে আসা আমাদের ভবিষ্যতের সাফল্যের ভিত্তি গড়বে। ”
কুইন্স পার্কে দায়িত্ব নেওয়ার সময় ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল। সেখান থেকে দলকে রক্ষা করে ১৮তম এবং ১৫তম অবস্থানে নিয়ে যান সিফুয়েন্তেস। তবে গত এপ্রিল মাসে বার্নলির কাছে ৫-০ ব্যবধানে হারের পর তাকে ছাঁটাই করে ক্লাব। এরপর জুনের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিউপিআর ছাড়েন তিনি।
লেস্টারের পক্ষ থেকে কোচ নিয়োগের বিষয়টি অনেক দেরিতে এলেও, সমর্থকরা আশা করছেন এই স্প্যানিশ কোচ শেষ পর্যন্ত দলকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারবেন। সিফুয়েন্তেস নিজেও এই নিয়োগকে দেখছেন 'গর্ব ও সম্মানের বিষয়' হিসেবে। তিনি বলেন, “এটা অসাধারণ এক ক্লাব, গৌরবময় ইতিহাসের অধিকারী। এই ক্লাবের পরবর্তী অধ্যায়ের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য বড় এক সম্মান। ”
আয়াক্সের যুব দলের সঙ্গে কাজ দিয়ে শুরু হয়েছিল সিফুয়েন্তেসের কোচিং ক্যারিয়ার। এরপর মিলওয়াল, স্পেনের নীচু স্তরের ক্লাব এবং নরওয়ে-ডেনমার্ক-সুইডেনে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
তবে সময় খুবই অল্প। মৌসুম শুরুর আগে খেলোয়াড়দের চিনে নেওয়া, কৌশল বোঝানো এবং নতুন খেলোয়াড়দের আনতে হবে হাতে গোনা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। তদুপরি, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে লেস্টার ইতোমধ্যেই তদন্তের মুখে পড়েছে, সম্ভাব্য পয়েন্ট কাটার শঙ্কাও রয়েছে।
এরই মাঝে ক্লাবের কিংবদন্তি জেমি ভার্ডিও ক্লাব ছেড়েছেন, যাকে এখনও কেউ রিপ্লেস করেনি। ফলে কোচের দায়িত্ব শুধু মাঠে নয়, ক্লাব পরিচালনাতেও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে।
সবমিলিয়ে কঠিন এক পরিস্থিতিতে লেস্টারে এসেছেন সিফুয়েন্তেস। তার দলে রয়েছেন বাংলাদেশি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। ক্লাবের নিজের ঘরের ছেলে হামজা ও অন্যান্য তরুণদের নিয়ে সিফুয়েন্তেস কীভাবে দল গড়ে তোলেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এমএইচএম