ঢাকা: গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও কোনো গোলের দেখা পাননি ফ্রান্স ও পর্তুগালের খেলোয়াড়েরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে ফরাসিরা।
কোম্যান মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই গোলের সুযোগ তৈরি করেন। তার বাড়ানো পাস থেকে বল পেয়ে গোলমুখে বাঁপায়ে শট নেন অ্যান্তনি গ্রিজম্যান। কিন্তু এবারও দুর্ভেদ্য দেওয়াল হয়ে থাকা পর্তুগিজ গোলরক্ষক বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফরাসিদের গোলবঞ্চিত করেন।
এরপর ৬৫ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করেন গ্রিজম্যান। এবারও তাকে বলের যোগান দেন কোম্যান। কোম্যানের মাপা ক্রস সরাসরি গিয়ে পড়ে বক্সের ভেতর ফাঁকায় থাকা গ্রিজম্যানের মাথা বরাবর। কিন্তু গ্রিজম্যানের হেড এবারও জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি।
খেলার ৭৫ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ তৈরি করেন কিংসলি কোম্যান। এবার তিনি বল বাড়ান ফরাসি স্ট্রাইকার জিরুডের উদ্দেশে। ডিরুডকেও গোলবঞ্চিত করেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক প্যাট্রিসিও।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে পর্তুগাল সুযোগ পায় খেলায় এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু কুয়ারেসমা দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি। তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের ৮৪ ও ৮৬ মিনিটে আরও দুটি গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ফরাসি তারকারা।
৯২ মিনিটে ইনজুরি সময়ের খেলায় বারপোস্টের খুব কাছ থেকে গোল করার সুযোগ পান ফ্রান্সের দশ নম্বর জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় গিগন্যাক। কিন্তু এবার ফরাসিদের বাধা হয়ে থেকে দাঁড়ায় খোদ বারপোস্ট। গিগন্যাকের শট পোস্টে লেগে ফিরে এল গ্যালারিভর্তি ফরাসি সমর্থকরা হতাশায় মুখ ঢাকেন।
এর আগে প্রথমার্ধের চতুর্থ মিনিটে ক্ষুরধার এক আক্রমণে যায় পর্তুগিজরা। সেদরিক সোয়ারেসের লম্বা পাস বুক দিয়ে দারুণভাবে রিসিভ করেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে সুযোগ হাতছাড়া করেন পর্তুগিজ উইঙ্গার নানি।
এরপর সপ্তম মিনিটে ব্লেইস মাতুইদির পাস থেকে বল পান টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় অ্যান্তনি গ্রিজম্যান। তার বাঁপায়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের দশ মিনিটে পর্তুগিজ গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও ফরাসিদের গোলবঞ্চিত করেন। পায়েটের ক্রস থেকে উড়ে আসা বলে জোরালো হেড করেন ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভার জিরুড। ঝাঁপিয়ে পড়ে তার শট রুখে দেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়ে রেখে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন পর্তুগালের সেরা খোলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মাঠভর্তি পর্তুগিজ সমর্থকরা বেদনায় নীল হয়ে ওঠেন। কোচ ফার্নান্দো সান্তোস তার বাজির ঘোড়া রোনালদোর পরিবর্তে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামান রিকার্দো কুয়ারেসমা।
রোনালদো বিহীন পর্তুগালকে চেপে ধরে আক্রমণ শানাতে থাকে ফরাসিরা। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে মুসা সিসোকোর দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে দিয়ে আবারো পর্তুগালের ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন গোলরক্ষক প্যাট্রিসিও।
খেলার ৩৪ মিনিটেই দিমিত্রি পায়েটকে অবৈধভাবে ফাউল করায় ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন সেদ্রিক সোয়ারেস।
রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলতে থাকা পর্তুগিজরা পাল্টা আক্রমণে গোল করার সুযোগ পায় ৩৯ মিনিটে। ডিবক্সের ভেতর থেকে হেড করে গোল করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি হোসে ফন্তে। তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বিরতির আগে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হয় পর্তুগাল।
***এডারের গোলে শিরোপার হাতছানি পর্তুগালের
***নিস্প্রভ ফরাসি তারকা গ্রিজম্যান
***অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ফ্রান্স-পর্তুগাল
***অশ্রুসিক্ত রোনালদোর বিদায় দৃশ্য
***ইউরো ফাইনালের দর্শক হলো পোকারাও!
***মাঠে নেই রোনালদো, প্রথমার্ধ গোলশূন্য
***২৫ মিনিটেই ফাইনাল শেষ রোনালদোর
***প্যারিসে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই চলছে
***প্যারিসে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু
***ইউরোর ফাইনালে ফ্রান্স-পর্তুগাল একাদশ
বাংলাদেশ সময়: ০১৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৬
আইএ/এমজেএফ/