ঢাকা: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বর্তমান অবস্থানে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান হয়তো স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনেরই। আর এক সময়ের শিষ্যকে এই প্রজন্মের ‘বিশেষ ফুটবলার’ হিসেবে আখ্যায়িত করলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এ কোচ।
ফার্গি দেখেছেন ক্লাবের পর জাতীয় দলের হয়েও সাফল্য পেয়েছেন রোনালদো। ইউরো ২০১৬’র ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেজর কোন শিরোপা জেতে পর্তুগাল। যেখানে অধিনায়ক ছিলেন সিআর সেভেন। যদিও ফাইনালে প্রথমেই ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিলো তাকে।
২০০৩ সালে স্পোর্টিং থেকে মাত্র ১৮ বছর বয়সে রোনালদোকে ম্যানইউতে নিয়ে আনেন ফার্গুসন। আর সে সময়ই নাকি তিনবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর মাঝে অসাধারণ ফুটবল দক্ষতা ও খুদা দেখেছিলেন তিনি। যা আজ তাকে বিশ্বসেরা বানিয়েছে।
ফার্গি বলেন, ‘তার ফুটবলের প্রতি দারুণ আকাঙ্খা রয়েছে। রোনালদো সব সময়ই ভালো করতে চায়, জিততে চায়। সে বিশেষ করে বড় ম্যাচ ভালোবাসে। ম্যানইউতে আমার সময় সে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছিল। সে কঠোর পরিশ্রমি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাভাবিক ভাবে সেরা ফুটবলাররা তার নিজের সেরাটা পাঁচ কিংবা ছয় বছর দিতে পারে। পরে এটা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো এটা করছে ১০ বছর ধরে। যা অসাধারণ। প্রতিটি প্রজন্মেই বিশেষ ফুটবলার থাকে, বর্তমানে ক্রিস্টিয়ানো। ’
স্তাদে ডি ফ্রান্সের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে এডারের গোলে ইউরোর শিরোপা জেতে পর্তুগাল। ম্যাচে রোনালদো গুরুতর আঘাত পেলে উঠিয়ে নেওয়া হয় তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, ১৪ জুলাই, ২০১৬
এমএমএস