ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ সফর ১৪৪৭

ফুটবল

ঢাকা আবাহনীকে রুখে দিল চট্টগ্রাম আবাহনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:২৩, জুলাই ২৫, ২০১৬
ঢাকা আবাহনীকে রুখে দিল চট্টগ্রাম আবাহনী ছবি: উজ্জ্বল ধর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম থেকে: জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ঢাকা আবাহনীর হয়ে গোল করেছেন সানডে সিজোবা, আর চট্টগ্রামের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেছেন রুবেল মিয়া।


 
সোমবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে এই মৌসুমের প্রথম হাইভোল্টেজ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।

ম্যাচের প্রথমার্ধের শুরু থেকেই স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে থাকে ঢাকা আবাহনী। রক্ষণভাগ থেকে শুরু করে মাঝমাঠ এবং আক্রমণভাগে আকাশী-নীলদের আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
 
প্রথমার্ধের ১৭ মিনিটের কথাই ধরা যাক। মামুনুল ইসলামদের রক্ষণদুর্গকে পুরোপুরি পরাস্ত করে ঢাকা আবাহনীর লি অ্যান্ড্রিউ টাক বল নিয়ে ঢুকে পড়েন চট্টগ্রাম ডি বক্সের ভেতরে। সেখানে গিয়ে বলটি নিজের পায়ে না রেখে ক্রস তুলে দেন সতীর্থ নাবিব নেওয়াজ জীবনকে। আর জীবন সেই ক্রসটিকে হেড করে চাইলেন জালে ঠেলতে। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন গোলরক্ষক রানা।
 
এই যাত্রায় স্বাগতিকরা বেঁচে গেলেও বাঁচতে পারেননি ৩৭ মিনিটে। জর্জ কোটানের শিষ্যরা আরেক দফায় চট্টগ্রাম আবাহনীর গড়া রক্ষণবুহ্যকে ফাঁকি ‍দিয়ে ঢুকে পড়ে তাদের ডি বক্স সীমানায়। আর ডি বক্সের ভেতরে ঢুকেই ক্রস তুলে দেন মামুন মিয়া। সেই ক্রস থেকে হেডে করে গোল তুলে নেন সানডে সিজোবা, আর আবাহনী লিমিটেড এগিয়ে যায় ১-০ তে।
 
পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে প্রথমার্ধের বাকি সময় আপ্রাণ চেষ্টা চালায় স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী শিবির। কিন্তু দলটি সেই লক্ষ্যে সফল না হলে পিছিয়ে থেকেই যায় প্রথমার্ধের বিরতিতে।  
 
বিরতির পর সমতায় ফিরতে মরিয়া চট্টগ্রাম আবাহনী আক্রমণ শানিয়ে বিপর্যস্ত করে তোলে ঢাকা আবাহনীর রক্ষণভাগ। এমন আক্রমণের ধারা বজায় রেখে ৭১ মিনিটে কর্নার পায় স্বাগতিক শিবির। কর্নারে কিক নেন অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। অনেকটা অর্ধচন্দ্রাকৃতির শটটি সোজা ঢাকা আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেলের হাতে গিয়ে পড়লে তিনি ফিস্ট করেন। আর সেই ফিস্ট থেকে ফিরে আসা বলটি ঢাকার জালে জড়িয়ে ম্যাচে ১-১ সমতা এনে উল্লাসে মাতে চট্টগ্রাম শিবির।
 
সমতায় ফেরার পর ব্যবধান বাড়াতে হাড্ডাহড্ডি লড়াই করে দু’দল। কিন্তু ম্যাচের  নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কেউই কারও জালে আর বল জড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত সমতা নিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় দু’দলকে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
এইচএল/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।