সমস্যা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে নিজ দেশ স্পেনে পর্যন্ত ফিরে যেতে পারছেন না নাস।
ঘটনার সূত্রপাত আফ্রিকান নেশনস কাপের পর।
নাসের মতো ঘানায় একই ঘটনার শিকার হয়েছেন লেস্টার সিটির তারকা খেলোয়াড় জেমি লরেন্সও। কিন্তু তিনি পাওনা না নিয়েই ইংল্যান্ডে ফিরে গেছেন। তবে যেতে চাননি জেরার্ড নাস। চুক্তিকৃত পাওনার পুরোটা হাতে পেতে এর মধ্যে তিনি দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও বসেছেন। যদিও ফেডারেশন দু’তিন দিন আগে তাকে চুক্তির কিছু অংশ হিসেবে ১০ হাজার ডলার দিয়ে দিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছিল শনিবার (২৫ মার্চ) ওই ১০ হাজার ডলার দেয়ার পর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু হয়নি। বরং আরও বড় বিপত্তির উদয় হয়। কেননা নাস যেদিন হোটেল ছাড়বেন সেদিনই হোটেল কর্তৃপক্ষ তার হাতে অস্বাভাবিক একটি বিলের কপি ধরিয়ে দেয়, যেখানে সব কিছুই ছিল বেশি বেশি।
বিষয়টি নিয়ে বেশ ক্ষিপ্ত এই লিভারপুলের সাবেক কোচ জানান ‘শনিবার তারা আমার পাওনার কিছু অংশ দেয়ার পর আমার জন্য একটি টিকিটও বুকিং দেয়। দেশে ফিরছি, এই ভেবে আমিও বেশ খুশিই ছিলাম। কিন্তু যখন আমি হোটেল ছাড়বো তখন কর্তৃপক্ষ একটি ফর্দ নিয়ে এসে আমাকে বলে যে, হোটেল ছাড়ার আগে তোমাকে এই বিল পরিশোধ করে যেতে হবে। আমি সেটা করতে পারিনি, বিধায় তারা ওই দিন রাতে আমাকে আটকে রাখে। লবির সোফায় ঘুমাতে হয়েছিল। সকালে হোটেল ডিউটি ম্যানেজার আমাকে আমার কক্ষে যাওয়ার অনুমতি দেয়। ’
‘গত দুই বছর যাবৎ নিয়মিতই আমি এখানে আসা যাওয়া করেছি, কিন্তু এমন ঘটনা এবারই প্রথম। ’ যোগ করেন জেরার্ড।
হোটেল কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে নাসের অভিযোগ হলো, হোটেলে থাকা নিয়ে ঘানা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে চুক্তিপত্রে যে শর্ত ছিল সেই শর্ত গোপনে বদলে দেয়ায় তাকে এমন বিপাকে পড়ে হোটেলে আটকে থাকতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ২৭ মার্চ ২০১৭
এইচএল/এমআরপি