গত মার্চে চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সহকারী রেফারিকে কটূক্তির অভিযোগে মেসিকে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করে ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি। মিস করেন বলিভিয়া ম্যাচ।
ক’দিন আগেই বায়ার্ন মিউনিখের চিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদাল অভিযোগের সুরে বলেন, মেসি বলেই এমন নমনীয় আচরণ করেছে ফিফা। ম্যারাডোনাও মনে করছেন শাস্তিটা আরেকটু বেশি হতে পারতো। তার বিশ্বাস, মেসির মতো যারা একই অপরাধ করবে তাদের কাছে একটি ভুল বার্তা পৌঁছাবে।
এক সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা বলেন, ‘এর কোনো মানে হয় না। বুকে হাত রেখে বলছি, তার আরও একটা ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওনা ছিল। তারকা খেলোয়াড় ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে ফিফা সব সময়ই এমন পদক্ষেপ নেয়। ’
মেসির পক্ষেও কথা বলেছেন ম্যারাডোনা, ‘মেসি কাউকে অপমান করার মতো খেলোয়াড় নয়। ’ শাস্তি কমায় বিস্ময় প্রকাশ করলেও খুশি যে হননি তাও কিন্তু নয়, ‘যারা মেসির শাস্তি কমানোর জন্য কাজ করেছে সবাইকে অভিনন্দন। একজন আর্জেন্টাইন হিসেবে মেসির জন্য আমি এই সিদ্ধান্তে খুবই খুশি। এখন আমরা আবার বিশ্বকাপ ঘিরে স্বপ্ন দেখতে পারি। ’
মেসির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে আর্জেন্টিনা শিবিরে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আলবিসেলেস্তেদের অবস্থান নড়বড়ে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে আর মাত্র চারটি করে ম্যাচ বাকি। শীর্ষ চারটি দল সরাসরি জায়গা করে নেবে ২০১৮ রাশিয়া ওয়ার্ল্ডকাপে। সবার আগে চূড়ান্ত পর্বে উঠে গেছে ব্রাজিল। পঞ্চম স্থানে থাকা দলকে প্লে-অফের বাধা পেরোতে হবে। পাঁচ নম্বরেই অবস্থান করছে মেসির আর্জেন্টিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ১০ মে, ২০১৭
এমআরএম