বুধবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের আমাদের এই ক্ষুদে যারা খেলোয়াড়, আগামী দিনে তারাই হয়তো বিশ্বকাপ খেলতে যাবে।
তার সরকার শিশুদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এই দেশকে গড়ে তুলতে চাই আমাদের আজকের শিশুরা আগামী দিনে এ দেশের কর্ণধার হবে সেইভাবে। তাই খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চার ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি এবং খেলাধুলার ভেতর দিয়ে আমাদের শিশুদের যেমন মানসিক শক্তি গড়ে উঠবে, তেমনি শারিরীকভাবেও সুস্থ হবে। শৃঙ্খলাবোধ শিখবে, অধ্যবসায় শিখবে, একটা দায়িত্বজ্ঞানবোধ তাদের মাঝে জাগ্রত হবে। ’অনূর্ধ্ব-১৪ বয়সভিত্তিক মেয়েদের ফুটবল ও ভারতে অনুষ্ঠিত নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে রানারআপ বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের অধিকাংশই এই টুর্নামেন্ট থেকে উঠে এসেছে বলে দাবী করেন লাল-সবুজের প্রধানমন্ত্রী। ‘অনূর্ধ্ব-১৪ বয়সভিত্তিক মেয়েদের ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ভারতে অনুষ্ঠিত নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা রানারআপ হয়েছি। এই দলের খেলোয়াড়দের অধিকাংশই কিন্তু উঠে এসেছে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে। ’
২০১০ সাল থেকে প্রথম বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। আর ২০১১ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রতি বছরই মেয়েদের জন্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। ২০১৭ সালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ১০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬শ ১১ জন মেয়ে শিক্ষার্থী এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ১০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬শ ৯৬ জন ছেলে শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে।
অংশগ্রহনকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান দেশের ক্রীড়া প্রেমী প্রধানমন্ত্রী। ‘আমি সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এত বিপুল সংখ্যক আর কখনো খেলায় যোগ দেয়নি। যে দুটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যে দুটি রানার আপ হয়েছে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সেই সাথে যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে তাদেরকেও ধন্যবাদ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ২৮ মার্চ ২০১৮
এইচএল/এমএমএস