বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় লিভারপুলকে আতিথ্য দেয় বায়ার্ন। ম্যাচের শুরু থেকে সফরকারীদের বেশ চাপে রেখেছিল স্বাগতিকরা।
লিভারপুলের গোলের অপেক্ষা অবশ্য ফুরায় ২৬তম মিনিটেই। বায়ার্নের পেনাল্টি অঞ্চলে ভার্জিল ভ্যান ডিকের বাড়িয়ে দেওয়া বল ঠেকাতে এগিয়ে যান বায়ার্ন ডিফেন্ডার সুলে ও গোলরক্ষক ম্যানুয়াল ন্যুয়ার। কিন্তু বল ততক্ষণে সাদিও মানের পায়ে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন এই সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড।
এগিয়ে থাকার স্বস্তি অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ‘অলরেড’দের। পরের গোলটিও লিভারপুলের খেলোয়াড় দিয়েছেন, তবে সেটা নিজেদের জালে। বায়ার্নের সুলে ডি-বক্সের ডানপ্রান্তে থাকা ন্যাব্রির দিকে বল পাঠালে তিনি লিভারপুলের ডিফেন্ডার রবার্টসনকে পরাস্ত করে বিপজ্জনক এক ক্রস করে বল পাঠিয়ে দেন গোলপোস্টের একদম সামনে থাকা রবার্ট লেভানডভস্কির দিকে। কিন্তু পোলিশ ফরোয়ার্ডের পায়ে যাওয়ার আগেই আগ বাড়িয়ে বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন লিভারপুলের হুয়েল মাতিপ।
৬৯ মিনিটে লিভারপুল শিবিরে স্বস্তি ফেরান ভার্জিল ভ্যান ডিক। জেমস মিলনারের অসাধারণ কর্নার কিক বাতাসে সুইং করে ভ্যান ডিকের কাছে পৌঁছুলে বায়ার্ন গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোলবারের বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল জড়িয়ে দেন এই ডাচ সেন্টার-ব্যাক। ৭৫ মিনিটে প্রায় একক প্রচেষ্টায় গোল করতে বসেছিলেন সালাহ। কিন্তু পেনাল্টি অঞ্চলের ঠিক বাইরে থেকে নেওয়া তার জোরালো শট এগিয়ে এসে ঠেকিয়ে দেন ন্যুয়ার।
বায়ার্নের ঘরের দর্শকদের হতবাক করে দিয়ে আরও একবার গোল করেন মানে। সালাহ’র দারুণ এক ক্রস বক্সের ভেতরে থাকা মানের কাছে পৌঁছানো মাত্র অনায়াস এক লক্ষ্যভেদ করে স্কোর লাইন ৩-১ করে দেন এই সেনেগালিজ।
লিভারপুলের এই জয় মানে এবারের কোয়ার্টার ফাইনালের চারটি দল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের। সর্বশেষ এমন নজির দেখা গিয়েছিল ২০০৮-০৯ মৌসুমে। অন্যদিকে ২০১০-১১ মৌসুমের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিল জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।
বাংলাদেশ সময় ০৫১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
এমএইচএম