কারো চোখে সেরা ব্রাজিলের কালো মানিক পেলে। আবার কারো চোখে ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ছিয়াশির মহানায়ক ম্যারাডোনা।
নিজের পেশাদারি ফুটবলের প্রিয় স্মৃতি রোমন্থনে বসেছিলেন দিউফ। ফিফা দ্য ওয়েবসাইটের কাছে ৩৮ বছর বয়সী সাবেক লিভারপুল ফরোয়ার্ড বলেন, ‘লিও মেসি, পেলে-ম্যারাডোনার চেয়ে ভালো। ’
‘এমনকি আমার চেয়েও ভালো!’, তুলনাটি দিয়ে অবশ্য না হেসে পারেননি দিউফ। তারপর বলেন, ‘সে (মেসি) যা করেছে তা অনন্য। সে অসাধারণ এক ফুটবলার। ’
গত এক যুগ ধরে কেবল সেরা ফুটবলারের তুলনা চলছে মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যে। দুই ফরোয়ার্ডই টানা এক যুগ পাঁচবার করে ব্যালন ডি’অর ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। তবে মেসির মতো ফুটবল বিশ্বে আর কেউ নেই মনে করেন দিউফ। সাবেক সেনেগালিজ তারকা মুগ্ধ হয়েছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের দক্ষতা ও গুণাবলী দেখে।
দিউফকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সেরা সেনেগালিজ ফুটবলার কে? উত্তরটা দিতে দ্বিধা করেননি সাবেক সাবেক লিভারপুর ও বোল্টন ওয়ান্ডার্স তারকা। নিজেকেই এগিয়ে রাখলেন তিনি, ‘অবশ্যই আমি! আমিই একমাত্র সেনাগালিজ খেলোয়াড় যে দু’বার “আফ্রিকান ফুটবলার অব দ্য ইয়ার” জিতেছি। ’
দিউফ ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং মালেয়েশিয়ায় মোট ১১টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। ২০০২ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে রূপকথার গল্প লিখেছিল সেনেগাল। সেনেগালিজদের সেই সোনালি প্রজন্মের সদস্য ছিলেন দিউফ।
যদিও তিনি অনেক বিখ্যাত ফুটবলারদের সঙ্গে খেলেছেন। তবে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তার সময়ে খেলা সেরা তারকাদের মধ্যে বেছে নিলেন নাইজেরিয়ার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জে জে ওকোচাকে। দিউফ-ওকোচা দু’জনই খেলেছেন বোল্টন ওয়ান্ডার্সে।
বাংলাদেশে সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
ইউবি