ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

দর্শকদের সামনে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা উৎসব বায়ার্নের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
দর্শকদের সামনে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা উৎসব বায়ার্নের উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন/ছবি: সংগৃহীত

করোনাকালে ফুটবল ম্যাচ দেখার সেই আনন্দ কি আর আছে? মাঠভরা দর্শকের উচ্ছ্বাস নেই, গোলের পর গগনবিদারী চিৎকার নেই। এসব ছাড়া খেলা দেখে আর মজা কিসের? সেই কষ্ট কিছুটা হলেও কমিয়েছে উয়েফা সুপার কাপের ফাইনাল।

 

৬৭ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় প্রায় ২০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে গড়িয়েছে এবারের উয়েফা সুপার কাপের ফাইনাল। যেখানে মুখোমুখি হয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাজয়ী বায়ার্ন মিউনিখ এবং ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া।  

করোনা মহামারিতে স্থগিত হওয়ার পর ইউরোপীয় শীর্ষ ফুটবল ম্যাচে এই প্রথম দর্শকের উপস্থিতি দেখা গেল। আর এই দর্শকরা গ্যালারিতে বসে রোমাঞ্চকর এক ফাইনাল দেখার সৌভাগ্য অর্জন করলেন। যে ফাইনাল ২-১ গোলে জিতে শেষ পর্যন্ত শিরোপা উৎসবে মাতলো বায়ার্ন মিউনিখ।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল সেভিয়া। ১৩তম মিনিটে বায়ার্নের দাভিদ আলাবা নিজেদের বক্সে ইভান রাকিতিচকে ফেলে দিলে পেনাল্টি উপহার পায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আর সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধারণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন সেভিয়ার আর্জেন্টাইন উইঙ্গার লুকাস ওকাম্পোস।

বিরতির আগেই অবশ্য সমতায় ফেরে বায়ার্ন। রবার্ট লেভানডভস্কির দুর্দান্ত পাস থেকে গোলটি করেন জার্মান মিডফিল্ডার লিওন গোরেৎজকা। ফলে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগে দুই দলের জন্যই জয়ের সমান সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু লেভানডভস্কি ও লেরয় সানের গোল মিসে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা চেপে বসে বায়ার্নের কাঁধে।

দ্বিতীয়ার্ধে সবচেয়ে বড় সুযোগটা পেয়েছিল সেভিয়া। বদলি খেলোয়াড় ইউসেফ এন-নাসরি বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি। যদিও শট ঠিকই নিয়েছিলেন ইউসেফ, কিন্তু নয়্যার হালকা ছোঁয়ায় বাইরে পাঠিয়ে দেন নয়্যার।

দুই দলের পাল্টাপাল্টি আক্রমণেও নির্ধারিত সময়ে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। তবে ২০১৯ সালে সর্বশেষ হারের মুখ দেখা বায়ার্নের বদলি খেলোয়াড় জাভি মার্তিনেস ১০৪তম মিনিটে গিয়ে দুর্দান্ত এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। আর তাতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাভারিয়ানদের।  

মজার ব্যাপার হচ্ছে, বায়ার্নের জার্সি গায়ে মার্তিনেসের এটাই শেষ ম্যাচ। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার এই গ্রীষ্মেই পুরনো ঠিকানা অ্যাতলেটিক ক্লাবে ফিরছেন। তবে যাওয়ার আগে সারাজীবন মনে রাখার মতো এক কীর্তি গড়ে গেলেন তিনি।  

এই ম্যাচ দিয়ে সেভিয়ার দুর্দান্ত ছুটে চলায় ছেদ পড়লো। হুলেন লুপেতেগির দল সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এর আগে টানা ২১ ম্যাচ ধরে অপরাজিত ছিল। কিন্তু বায়ার্ন ইতিহাস গড়েই যাচ্ছে। ঘরোয়া সব শিরোপা জেতার পর চ্যাম্পিয়নস লিগ, আর এবার উয়েফা সুপার কাপ। জার্মান জায়ান্টদের সময়টা আসলেই দুর্দান্ত কাটছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।