ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২১ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সাহিত্যে নোবেল পেলেন পেরুর ঔপন্যাসিক মারিও ভার্গাস য়োসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২৩, অক্টোবর ৭, ২০১০
সাহিত্যে নোবেল পেলেন পেরুর ঔপন্যাসিক মারিও ভার্গাস য়োসা

স্টকহোম: পেরুর বিশ্ববিখ্যাত লেখক মারিও ভার্গাস য়োসা ২০১০ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। সুইডিশ অ্যাকাডেমী বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেয়।



কমিটি য়োসার প্রশংসা করে জানায়, ‘তার লেখায় ক্ষমতা কাঠামোর মানচিত্র এবং ব্যক্তির প্রতিরোধ, বিদ্রোহ ও পরাজয়ের মর্মভেদী বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ’

৭৪ বছর বয়সী লেখক ১৯৯০ সালে পেরুর প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। কনভারসেশন ইন দ্য ক্যাথেড্রাল ও দ্য ফিস্ট অব দ্য গোট উপন্যাসগুলোর জন্য তিনি সবচেয়ে পরিচিত। সাংবাদিকতাও করেছেন বেশ কিছুকাল।

ভার্গাস য়োসা স্প্যানিশ ভাষার লেখকদের সবচেয়ে সম্মানীয় সেরভান্তেস পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগেও নোবেল পুরস্কারের জন্য তার নাম উঠেছিল বেশ ক`বার।

পুরো নাম মারিও পেদ্রো ভার্গাস য়োসা। জন্ম পেরুর আরেকিপা শহরে ১৯৩৬ সালের ২৮ মার্চে। বড় হয়েছেন বলিভিয়ার কোচাবামা শহরে মা ও পিতামহের সঙ্গে। ১৯৪৬ সালে পেরুতে ফিরে আসে তার পরিবার। তিনি লাতিন আমেরিকার একজন গুরুত্বপূর্ণ ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তিনি তার প্রজন্মের অন্যতম প্রধান লেখক।

১৯৬০-র দশকে দ্য টাইম অব দ্য হিরো লেখার কারণে সাহিত্যমহলে তার খ্যাতি বেড়ে যায়। এছাড়া তার লেখা ক্যাপ্টেন পানতোহা অ্যান্ড স্পেশাল সার্ভিস, আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপরাইটার। তার প্রথম সফল উপন্যাস ‘দ্য গ্রিন হাউস’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৬ সালে।

১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত চলা আলবার্তো ফুজিমোরির একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে পরাজিত হন। হতাশ হয়ে পড়েন। ১৯৯৩ সালে স্পেনের নাগরিকত্ব নেন। এ ঘটনায় পেরুর অনেকেই ক্ষুব্ধ হন।

একসময় সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ফ্রান্সে চলে যান। সেখানে ভাষাশিক্ষক ও বার্তাসংস্থা এএফপির হয়ে সাংবাদিকতার কাজ করেন। লেখক হিসেবে সুনাম অর্জন করার আগে ফ্রেঞ্চ টেলিভিশনেও কাজ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।