কোপিয়াপো: সব প্রচেষ্টার সফল অবসান ঘটেছে। উদ্ধারকারীরা পৌঁছে গেছেন খনি শ্রমিকদের কাছে।
উদ্ধারকারীরা মনে করছেন বুধবারই ঘটবে এ দীর্ঘ প্রতীক্ষার সমাপ্তি। ঐ দিন মুক্ত করে আনা হবে আটকে থাকা শ্রমিকদের প্রথমজনকে ।
চিলির খনিমন্ত্রী লরেন্স গোলবর্ন উদ্ধার শনিবার সন্ধায় ঘোষণা করেন ,বুধবার শ্রমিকদের উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
খনি মন্ত্রীর এ ঘোষণা বুকের স্পন্দন বাড়িয়ে দিয়েছেন আটকে থাকা খনি শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে। তারা খনির বাইরে ‘ক্যাম্প হোপ’ করে রাত জেগে প্রার্থনা করছেন।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাইম ম্যনাচি শ্রমিকদের শারিরিক অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এদের মধ্যে ১০ জন অপেক্ষাকৃত বেশি দূবর্ল হয়ে পড়েছেন।
এদিকে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষায় আছেন খনি শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন। একজন আটকে পড়া শ্রমিকের স্ত্রী জেসিকা ইয়ানেজ বলেন, ‘ আমি খুব খুশি। উদ্ধারকারী দলটি খনিতে পৌঁছে গেছে। তবে আমি বেশি আনন্দিত হবো যখন তাদের বের করে আনা হবে’।
ক্যাম্প হোপে অপেক্ষমান শ্রমিক পরিবারের পক্ষ থেকে এই শিল্পকে ঢেলে সাজানোর আহবান জানানো হয়েছে। তারা আক্ষেপ করে বলেন, এধরনের দুর্ঘটনায় কেবল শ্রমিকরাই প্রাণ দেন। কিন্ত আজ পর্যন্ত কোনা মালিক এজন্য জেল খাটেননি।
গত ৫ আগস্ট ভূগর্ভস্থ সোনা ও তামার খনিতে কাজ করতে গিয়ে প্রায় ৭০০ মিটার নিচে আটকে পড়েন ওই ৩৩ জন শ্রমিক।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০